কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গোপীনাথপুর ২ পঞ্চায়েত এলাকার কুমরুলে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে গোষ্ঠী কোন্দলে নিহত হয়েছিলেন প্রাক্তন উপপ্রধান মৃত্যুঞ্জয় বেরা। রাজনৈতিক উত্তেজনায় পুড়েছিল অভিযুক্তদের দোকান ও বাড়ি। ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিল প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান সহ বেশ কয়েকজন। এখনও তারা বিচারাধীন বন্দি। সে কারণে লোকসভা নির্বাচনে এই এলাকায় প্রচারের বিশেষ তাৎপর্য রাখে সব রাজনৈতিক দল।
তারকেশ্বর বিধানসভার অন্তর্গত ধনেখালি এলাকার পাঁচটি পঞ্চায়েত বরাবরই লোকসভা, বিধানসভা ভোটে এগিয়ে দিয়েছে তৃণমূল প্রার্থীকে। প্রচারে বেরিয়ে অপরূপা পোদ্দার বলেন, আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া অন্য কোনও দলের উপর আস্থা রাখবে না সাধারণ মানুষ। গতবারের থেকে বেশি ভোটে জয়লাভ করবে তৃণমূল কংগ্রেসের মা-মাটি সরকার।
অপরদিকে ধনেখালি বিধানসভার দাদপুরে প্রচার করলেন লিবারেশন পার্টির হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সজল অধিকারী। দাদপুরের শ্রীরামপুর গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করলেন তিনি। সজলবাবু বলেন, হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ধনেখালি এলাকায় যে রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় আসে তারাই ভোট করতে দেয় না। আগে শুধুমাত্র ধনেখালি এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটত। এখন পাশাপাশি এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়েছে ভোট দিতে না দেওয়ার মতো ঘটনা। আমাদের মূল লক্ষ্য বাংলায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। বিশেষ করে ধনেখালিতে। সিপিএমের উপর আস্থা হারিয়ে মানুষ তৃণমূল সরকারকে এনেছিল। এই সরকারও সিপিএমের মতোই মানুষকে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেয় না। আদিবাসী সম্প্রদায়ের বহু মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। এছাড়াও বামফ্রন্টের যন্ত্রণায় যারা বিকল্প দল চাইছে তারা আমাদের সঙ্গে আসছে। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল ও ধর্মের রাজনীতিতে যারা বিশ্বাসী নয়, তারা আমাদের পাশে রয়েছে। জয়-পরাজয় আমাদের কাছে মূল লক্ষ্য নয়, আমাদের লক্ষ্য ধনেখালি সহ বাংলায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা।