গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজয়দের তেল কল রয়েছে। তাদের পারিবারিক ব্যবসা। অন্যদিকে, অনিলবাবুর বাড়ি তাঁদের বাড়ির কাছে ষষ্ঠীতলায়। তিনি পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউট্যান্ট। বিজয় জিজ্ঞাসাবাদে পুলিসকে জানিয়েছে, অনিলের সঙ্গে তার খুব ভালো সম্পর্ক। ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তার নিজের দাদার সঙ্গে গণ্ডগোল চলছিল। বিষয়টি জানতে পেরেই অনিল আমাকে বোঝাতে এসেছিল। এরপর তিনি পুলিসকে আরও বলেন, সোমবার রাতে আমরা দোতলায় বসেছিলাম। ঠিক করেছিলাম, আমি আর বাঁচব না। সেই জন্য আগ্নেয়াস্ত্র এনেছিলাম। ওপরে বসে আমাকে অনেক কিছু বুঝিয়েছে। কিন্তু, আমি মানসিকভাবে ঠিক ছিলাম না। এরপর আগ্নেয়াস্ত্র বের করে আত্মহত্যা করতে যাই। ও আমাকে বাঁচাতে চেষ্টা করে। কিন্তু, আমি ওর বাধা উপেক্ষা করেই আগ্নেয়াস্ত্রের ট্রিগার টিপে নিজের দিকে ধরি। ও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেই আচমকা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি বেরিয়ে ওর লেগে যায়। আমি নিজে মরতে চেয়েছিলাম। ওকে মারতে চাইনি। ওর সঙ্গে আমার কোনও শত্রুতা নেই। বরং, ও আমাকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য এসেছিল। আমাকে অনেক বুঝিয়েছে। আমি কিছু বুঝতে চাইনি। ও আমাকে বাঁচাতে গিয়ে গুলি লেগে মারা গিয়েছে।
রাতের দিকে গ্রাহাম রোডে আচমকা গুলি চলার শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন চমকে ওঠে। সকলেই দৌড়ে দোতলায় যায়। ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় অনিলকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর পরই পুলিস মূল অভিযুক্তকারী বিজয় সিংহানিয়াকে আটক করে। পরে, রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিসি জেরায় সে একথা স্বীকার করেছে।