কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত কয়েক বছর ধরেই এই জেইউএমএস-এর মাধ্যমেই ভর্তি, পরীক্ষা, তার খাতা দেখা ইত্যাদি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছিল। এর ফলে হাতের নাগালে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যেত। কিন্তু এই পোর্টাল নিয়ে জট তৈরি হয়েছে। এটি চালানো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সম্প্রতি এই পোর্টাল পরিচালানর দায়িত্বে থাকা কর্মীদের বেতন নিয়ে প্রশ্ন তুলে পোস্টারও পড়ে। সেই সব ব্যাপারে শঙ্কিত ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি। ৬০০টি আসনে ভর্তিতে কোনও রকম জটিলতা যাতে না হয়, তার জন্য সতর্ক কর্তারা। তাই কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে অন্যভাবে এই ভর্তির প্রক্রিয়া করতে চাইছে ফ্যাকাল্টি। কিন্তু বাকি প্রক্রিয়া, যেমন তথ্য ও নথি ভেরিফিকেশনের মতো কাজকর্ম অফলাইনে করা হবে। ঠিক যেমন বিকেন্দ্রীকৃত কাউন্সেলিং করা হয়। তবে জেইউএমএস-এর জটিলতার কারণে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতকোত্তরের ভর্তি কিছুটা পিছিয়েও যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যান্যবার এই সময়ে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যায়। কিন্তু এবার তা আর হচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আশঙ্কা, এই বিলম্বের কারণে ভালো ভালো পড়ুয়া অন্যত্র চলে যেতে পারেন। কারণ, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতকোত্তরে ভর্তির জন্য যাঁরা গেট পরীক্ষা দেন, তার ফল ১৫ মার্চ প্রকাশিত হয়েছে। তারপর এপ্রিলেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। যাদবপুরে এবার এই জটিলতার কারণে, সেই প্রক্রিয়া শুরুই করতে পারেনি। এই সংক্রান্ত একটি কমিটিও গড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা বৈঠক করে বিকল্প ভর্তির পদ্ধতিও বের করে ফেলেছে। এক আধিকারিকের কথায়, একটা অনলাইন ব্যবস্থা এতদিন চলছিল। তা নিয়ে যদি হঠাৎ করে জট তৈরি হয়, বা ত্রুটি দেখা দেয়, তার থেকে বেরিয়ে এসে অন্য পদ্ধতি চালু করতে সময় তো লাগবেই। সূত্রের খবর, মে মাসের মধ্যে গোটা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলতে চাইছে এই ফ্যাকাল্টি। কিন্তু কাজটা যে বেশ কঠিন, সে কথাও মানছেন অধ্যাপকরা।
এদিকে, আজ, জরুরিভিত্তিতে পিএইচডি কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। তিন মাস কেটে গেলেও এখনও এর প্রবেশিকার ফল প্রকাশ হয়নি। সোমবার এগজিকিউিটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে এই নিয়ে তৈরি হওয়া জটের সুরাহা মিলেছে। সেটা নিয়েই এই কমিটির বৈঠক রয়েছে। কর্তারা আশাবাদী, সেখানে ফল প্রকাশের দিনক্ষণ ঠিক হয়ে যাবে।