পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বনগাঁ শহর, গাইঘাটা, ঠাকুরনগর, বাগদা, গোপালনগর সহ যেখানেই যান মানুষের মুখে একটাই কথা, বনগাঁ লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম, কংগ্রেস সহ অন্য রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিলেও এখানে মূল লড়াই তৃণমূল কংগ্রেস বনাম বিজেপি। দুই শিবিরই প্রচারে এবার জোর দিয়েছে। বিজেপি পুরনো অঙ্কের কথা না মানলেও তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, পুরনো অঙ্কই মিলবে। কেন? তৃণমূলের দাবি, ২০১৪ সালে দেশে মোদির একটা হাওয়া ছিল। কিন্তু, বনগাঁ লোকসভায় ঠাকুরবাড়ির সদস্য তথা তৃণমূল প্রার্থী কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬০১ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। এক বছরের মাথায় তাঁর মৃত্যু হলে ২০১৫ সালে বনগাঁ লোকসভার উপ নির্বাচন ঘোষণা হয়।
ঠিক তখনই ঠাকুরবাড়িতে ভাঙন ধরে। তৃণমূলের মন্ত্রিত্ব ছেড়ে ঠাকুরবাড়ির সদস্য মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর বিজেপিতে যোগ দিয়ে তাঁর বড় ছেলে সুব্রত ঠাকুরকে ওই উপ নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী করেন। ঠাকুরবাড়ি থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হন প্রয়াত সাংসদ কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের স্ত্রী মমতাবালা ঠাকুর। ওই উপ নির্বাচনে মমতা ঠাকুর ২ লক্ষ ১১ হাজার ৭৮৫ ভোটে জয়ী হন!
বনগাঁ উত্তর, বনগাঁ দক্ষিণ, বাগদা, গাইঘাটা, স্বরূপনগর, হরিণঘাটা এবং কল্যাণী মিলিয়ে বনগাঁ লোকসভার অধীনে মোট সাতটি বিধানসভা রয়েছে।
এর মধ্যে প্রথম পাঁচটি বিধানসভা উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় এবং হরিণঘাটা ও কল্যাণী এই দু’টি বিধানসভা নদীয়া জেলার অন্তর্গত। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সাতটি বিধানসভাতেই তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, ভোটের অঙ্ক ধরে বসে না থেকে জেলা নেতৃত্ব এবার এই লোকসভায় সাংগঠনিক প্রচারে বিশেষ জোর দিয়েছে। প্রতিটি অঞ্চল ধরে ধরে একেবারে নিচুতলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে। ঘাসফুলকে অক্ষত রাখতে তাঁরা মরিয়া।
বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বিপ্লব হালদার বলেন, তৃণমূল ভোটের অঙ্কে হয়ত এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু, সবাই মোদিজিকে চাইছেন। বনগাঁ লোকসভায় আমরাই জয়ী হব। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের বনগাঁ শহর সভাপতি শংকর আঢ্য বলেন, ভোটের অঙ্কে মানুষ আমাদের এগিয়ে রেখেছেন। সেই সঙ্গে ২০১১ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনগাঁ লোকসভার মানুষের জন্য প্রচুর উন্নয়ন করেছেন। ঠাকুরনগর, গাইঘাটা, বনগাঁ, বাগদা, স্বরূপনগর, গোপালনগর আপনি যেখানেই যান উন্নয়ন দেখতে পাবেন। আগে কী ছিল, আর কী হয়েছে মানুষ দেখতে পাচ্ছেন। বিজেপি ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬ কোনও নির্বাচনেই এখানে কিছু করতে পারেনি। এবারও পারবে না। বনগাঁয় তৃণমূলেরই বিজয় পতাকা উড়বে।