বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
সোমবার বনগাঁর আরএস মাঠে দলীয় প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের সমর্থনেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জনসভার আয়োজন করা হলেও। যোগী এলেও ‘বেনজিরভাবে’ ওই সভায় যাননি শান্তনু ঠাকুর। তারপরই জল্পনা শুরু হয়। দলের জেলা নেতৃত্ব অসুস্থতার কথা দাবি করলেও সোমবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে দেখা করেননি শান্তনু ঠাকুর। কিন্তু, বিতর্ক জোরালো হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ তিনি ওই বিষয় নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। প্রসঙ্গত, সোমবার গোপালনগরের পাল্লায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। সকালে যোগীর সভায় না গেলেও ওইদিন রাতে তিনি জখম কর্মীদের দেখতে গিয়েছিলেন। ওই ব্যাপারে শান্তনুর দাবি, তখন শরীরটা একটু ভাল হয়েছিল।
তিনি বলেন, শাসকদল অপবাদ দিচ্ছে যে, আমার সঙ্গে টাকা নিয়ে ভাগাভাগি নিয়ে গণ্ডগোল চলছে। তাই নাকি আমি যাইনি। এটা সম্পূর্ণ অপবাদ। তার জন্যই আমাকে সাংবাদিক সম্মেলন করতে হচ্ছে। গত ১৯ এপ্রিল থেকে আমি পেটের সমস্যা ভুগছি। সোমবার প্রচণ্ড পেট ব্যথা ছিল। বিছানা থেকে উঠতে পারিনি। যোগীর সঙ্গে আমি সহযোগিতা করতে পারিনি। তার জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আমি ওনাকেও জানিয়েছি। আমার জন্য যে সমস্যা হয়েছে তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
সোমবারের সভায় যোগী একবারের জন্য শান্তনুর নাম করেননি। ওই ব্যাপারে তিনি বলেন, উনি ভিন রাজ্যের মানুষ। বাঙালি নন। উনি ভারতীয় জনতার পার্টির প্রচারে এসেছিলেন। তার জন্য প্রার্থী নাম বলতে হবে এমন কোনও কথা নেই। অন্যদিকে, যোগীর সভায় না যাওয়া প্রসঙ্গে সোমবারই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল এবং শান্তনুর সঙ্গে দলের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সমস্যার অভিযোগ তুলেছিলেন। ওই ব্যাপারে শান্তনু ঠাকুর বলেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আস্তাবলের বুড়ো ঘোড়া। আর ক’টা দিন পর সবাই ছুঁড়ে ফেলে দেবে। উনি হচ্ছে ছোট এক টাকার কয়েন। মার্কেটে চলছে, কিন্তু, লোকে খাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, শান্তনু একটা অশিক্ষিত ছেলে। সে এবং তাঁর বাবা ঠাকুরবাড়ির জন্য কিছু করেননি। ঠাকুরবাড়ির যা উন্নয়ন হয়েছে সবই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তনু টাকার লোভে প্রার্থী হয়েছে। তাই প্রকৃত মতুয়ারা তাঁর সঙ্গে নেই। এখনও বলছি, ওদের ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছে। সেই গণ্ডগোল থেকে গোষ্ঠী কোন্দল এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যে যোগীর সভাতেও দলের প্রার্থীই যাননি। এটা বিজেপির কাছেও লজ্জা। বনগাঁর মানুষ ২৩ মে শান্তনুর হাতে শূন্য ধরাবে। তিন লক্ষের বেশি মার্জিনে ও গোহারা হবে।