কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মহেন্দ্র ব্যানার্জি রোডের বাসিন্দা চুমকি স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ত। এক বছর আগে তার বাবা অজিত মিস্ত্রি মারা যান। তারপর থেকেই সে তার মা চামেলি মিস্ত্রির সঙ্গে থাকত। বাড়ির অদূরেই তার মাসির বাড়ি। সেই বাড়ির সদস্যদের কথায়, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হলে বা অন্য কোনও কারণে মন খারাপ হলেই চুমকি তাঁদের বাড়ি চলে আসত। পুলিস জানতে পেরেছে, তার মা একটি বাড়িতে আয়ার কাজ করেন। তাই সন্ধ্যায় চুমকি ঘরের কাজ করে রাখত। রবিবার রাতে বিছানায় বসে সব্জি কাটছিল সে। তবে বিছানায় বসে সব্জি কাটা নিয়ে তাকে আগেও নিষেধ করেছিলেন তার মা। কিন্তু সে কথা শোনেনি। এদিন রাতে বাড়িতে ঢুকে চামেলিদেবী দেখেন, বিছানার উপর সব্জি কাটছে মেয়ে। বিছানা নোংরা হওয়ায় মা মেয়েকে খুব বকাবকি করেন। মায়ের বকাবকিতে রাগ করে মেয়ে মাসির বাড়ি যাবে বলে বেরিয়ে যায়। চামেলিদেবী বলেন, বিছানা নোংরা হবে বলে সেখানে সব্জি কাটতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তা না শোনায় বকাবকি করি। তবে গায়ে হাত দিইনি। এরপরেই রাগ করে মাসির বাড়ি যাবে বলে বেরিয়ে যায়। আধ ঘণ্টা পরে দিদিকে ফোন করে মেয়ের খবর নিলে সে বলে, ওখানে চুমকি যায়নি। এদিকে, রাতে চারপাশে খোঁজ শুরু হলেও কিশোরীকে পাওয়া যায়নি। পড়শিদের বাড়িতেও খোঁজ করেন মা-মাসিরা। এরপর এলাকার একটি পুকুর পাড়ে ওই কিশোরীর চটি দেখতে পাওয়া যায়। তবে এলাকার যুবকরা ওই গভীর জলাশয়ে নেমেও তার খোঁজ পাননি। তখন থানায় খবর দেওয়া হয়। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা জলাশয়ে নেমে রাত তিনটে নাগাদ ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার করেন। মেয়ের দেহ উদ্ধার হতেই ভেঙে পড়েন কিশোরীর মা। তিনি বলেন, আমি একা হয়ে গেলাম। স্বামী মারা গিয়েছেন। মেয়েই ছিল অবলম্বন। শুধু বকাবকির জন্য এভাবে ছেড়ে চলে গেল। সোমবার গিয়ে দেখা যায়, তাঁকে পড়শিরা সামলাচ্ছেন। তিনি মাঝেমধ্যেই জ্ঞান হারাচ্ছেন।