বিএনএ, বারাসত: বাবা-মাকে প্রণাম করেই সোমবার বারাসতে এসে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বসিরহাট লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরত জাহান। প্রথমে ঠিক ছিল দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে মা ভবতারিণীকে প্রণাম করেই তিনি মনোনয়ন জমা দেবেন। এদিন অবশ্য সেই কর্মসূচিতে পরিবর্তন হয়। তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এ প্রসঙ্গে বলেছেন, মনোনয়ন জমার সময় ছিল ১১টা থেকে ৩টে। নুসরতের বাড়ি থেকে বেরতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। মনোনয়ন জমার কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তিনি সরাসরি জেলা পরিষদের অফিসে আসেন। তবে দু’একদিনের মধ্যেই নুসরত দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে গিয়ে মা’কে প্রণাম করে আশীর্বাদ চাইবেন। এদিন মনোনয়নপত্র জমা করার পরই বিকেলের দিকে শাসন এলাকায় পর পর তিনটি রাজনৈতিক সভা করেন তিনি। প্রতিটি সভাতেই ভিড় উপচে পড়েছিল। এদিন নুসরতের পাশাপাশি দমদম লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সৌগত রায়ও বারাসতে এসে মনোয়নয়নপত্র জমা করেছেন।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পাঁচটি লোকসভার মধ্যে বনগাঁ ও বারাকপুর কেন্দ্রে আগামী ৬ মে নির্বাচন। বারাসত, বসিরহাট ও দমদম কেন্দ্রে আগামী ১৯ মে সপ্তম দফা তথা শেষ দফায় নির্বাচন হবে। বনগাঁ ও বারাকপুরের মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন শেষ হয়ে গিয়েছে গত ১৮ এপ্রিল। এদিন সোমবার থেকে বসিরহাট, দমদম ও বারাসত লোকসভার জন্য মনোয়নপর্ব শুরু হল। এই তিনটি কেন্দ্রে মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন ২৯ এপ্রিল। ৩০ এপ্রিল স্ক্রুটনির দিন ধার্য করা হয়েছে। এই তিনটি কেন্দ্রের জন্য মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার শেষদিন আগামী ২ মে।
এদিন বসিরহাটের প্রার্থী নুসরত জাহান বাবা-মায়ের সঙ্গে বারাসতে জেলা পরিষদ অফিসে আসেন। গেটের বাইরে বাবা-মা এবং খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে প্রণাম করে তিনি বসিরহাটের রির্টানিং অফিসার তথা অতিরিক্ত জেলাশাসকের (উন্নয়ন) কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। অন্যদিকে, দমদমের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় দমদমের রির্টানিং অফিসার তথা অতিরিক্ত জেলাশাসকের (ট্রেজারি) কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই দুই প্রার্থীর সঙ্গে জেলা সভাপতি ছাড়াও জেলার পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের পূর্তদপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী, বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়, ভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে এদিন বিকেলে শাসনের সর্দারহাটি, খড়িবাড়ি, কৃতিপুর এলাকায় পর পর তিনটি জনসভা করেন নুসরত জাহান। প্রসঙ্গত, এই শাসন এক সময় সিপিএমের গড় ছিল। কিন্তু এই এলাকায় এখন বেশিরভাগ জায়গাতেই দেওয়াল লিখন করতে পারেনি সিপিএম। নুসরতকে দেখার জন্য এদিন সভা শুরুর আগে থেকেই প্রচুর মানুষ হাজির হয়েছিলেন। মহিলাদের উপস্থিতও ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিনও শাসনের ওই সভা থেকে চার লাইন ‘হৃদ মাঝারে রাখব, ছেড়ে দেব না’ গান গেয়েই জনতার মন জয় করেন তিনি।