বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, নারকেলডাঙায় ছাগলের হাটে দোকান রয়েছে ইলিয়াস ও সাজিদের। কিছুদিন আগে তাদের মধ্যে ছাগল রাখা নিয়ে ঝামেলা হয়। দু’জনেরই অভিযোগ, একে অন্যের দোকান দখল করে রেখেছে। এতে ছাগল রাখতে অসুবিধা হচ্ছে। ইলিয়াসের অভিযোগ, তার দোকানের সামনে ছাগল রেখে দিয়েছে সাজিদ। এতে তার দোকানে খরিদ্দার ঢুকতে পারে না। সাজিদের পাল্টা অভিযোগ, ইলিয়াস তার দোকানের মুখে ছাগল রেখে ব্যবসায় বাধা সৃষ্টি করছে। এমনকী একে অপরের খরিদ্দারও কেড়ে নিচ্ছে। এই নিয়ে ক’দিন আগেই দু’জনের মধ্যে গোলমাল হয়। অন্য ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় তখনকার মতো তা মিটে যায়। পরিস্থিতি শান্তই ছিল। দু’জনেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
রবিবার ছাগল রাখাকে কেন্দ্র করে ফের দু’জনের মধ্যে গোলমাল বাধে। একে অপরের বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ তোলেন। ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দু’পক্ষের সঙ্গীরাও জড়ো হয়ে যায় এলাকায়। তারা সকলেই কাশিয়া বস্তির বাসিন্দা। প্রথমে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, তারপর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তারা। পরিস্থিতি চরমে উঠলে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে দেন। ছাগলের হাট সংলগ্ন রাস্তায় পড়ে থাকা ইট তুলে দু’পক্ষই একে অপরকে ছুঁড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ। এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়। ভাঙচুর হয় বেশ কয়েকটি দোকানও। ভয়ে বাজারের লোকজনও পালাতে শুরু করেন। গোলমালের মাঝে পড়ে আহত হন এক ব্যবসায়ী। প্রায় মিনিট কুড়ি এই সংঘর্ষ চলে। খবর পেয়ে নারকেলডাঙা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল বাহিনী নিয়ে আসা হয়। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে দু’পক্ষকেই এলাকা থেকে সরিয়ে দেয় পুলিস। পুলিসের তাড়ায় গোলমালে জড়িতরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। আটক করা হয় চারজনকে। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে গোলমাল পাকানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।