কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অপরহণের ভুয়ো গল্প ফেঁদে রবিরারই গ্রেপ্তার হয় মামা মণীশ ও তার এক সহযোগী। পাটনা থেকে উদ্ধার করা হয় নাবালক ভাগ্নেকেও। জেরায় সে পুলিসকে জানায়, এই কাণ্ডে সেও জড়িত। পুরো পরিকল্পনাটাই সে ও মামা মিলে করেছে। কিন্তু কেন মুক্তিপণ হিসেবে টাকা চাওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে ভাগ্নেকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। আস্তে আস্তে সে তদন্তকারী অফিসারদের সামনে সমস্ত কিছু বলতে শুরু করে। জানা যায়, বিহারে পানের দোকান রয়েছে মামা মণীশের। ছোটখাট ফাংশানে গানও গেয়ে বেড়ায়। অনেকদিন ধরেই তার ইচ্ছা, একটি মিউজিক অ্যালবাম তৈরি করার। সঙ্গে গড়া হবে মিউজিক রেকর্ডিংয়ের জন্য স্টুডিও। কিন্তু টাকার জোগাড় হচ্ছিল না। এর মাঝে কথায় কথায় ভাগ্নে তাকে জানায়, পড়াশোনা করতে তার তেমন ভালো লাগে না। সে সিনেমার নায়ক হতে চায়। এই কথা শুনেই ভাগ্নেকে নায়ক বানিয়ে দেবে বলে টোপ দেয় মামা। বলে, সিনেমা তৈরি করবে। তাতে ওই কিশোর যথেষ্ট উৎসাহিত হয়ে ওঠে। কিন্তু দুজনের কারও হাতেই টাকাপয়সা নেই। উদ্ধার হওয়া কিশোর জানত, তার বাবা বেশ ভালো অঙ্কের টাকা রোজগার করেন। তখনই তারা দুজনে মিলে পরিকল্পনা করে, অপহরণের গল্প ফেঁদে বাবার কাছ থেকে টাকা হাতাবে।
কিন্তু এই কায়দায় যে টাকা পাওয়া যেতে পারে, তা ওই কিশোর জানল কী করে? তদন্তকারী অফিসারদের কাছে কিশোর জানিয়েছে, বিভিন্ন টিভি সিরিয়াল দেখত সে। সেখানে কীভাবে অপহরণ করা হয় ও টাকা আদায়ের কৌশল কী, তা সে বিশেষ মন দিয়ে লক্ষ্য করেছে। সেখান থেকেই এই পরিকল্পনার কথা মাথায় আসে তার। বিষয়টি মামাকে জানায়। মামাও এই প্রস্তাব লুফে নেয়। এরপরই সে বাড়ি থেকে বেপাত্তা হয়ে যায়। তার দুদিন আগে থেকে ওই কিশোর মাকে বলছিল, তার টাকাপয়সার প্রয়োজন রয়েছে। বিহারে যাবে বলেও বায়না ধরে। কিন্তু তাকে যেতে দেওয়া হয়নি।
তদন্তে উঠে এসেছে, বাড়ি থেকে বেরিয়ে কিশোর হাওড়া স্টেশনে আসে। সেখানে মামা মণীশ অপেক্ষা করছিল। দুজনে একসঙ্গে ট্রেনে ওঠে। পাটনায় গিয়ে নামে। সেখাকার একটি জায়গায় কিশোর থেকে যায়। এরপর মামা ও তার এক সহযোগী ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। প্রতিবারই ওই কিশোরের মাকে ফোন করা হচ্ছিল। শেষে নেওয়া হয় মুক্তিপণও। তবে পুলিসের দাবি, ঘটনায় আরও অনেকেই জড়িত রয়েছে। যারা পরিকল্পনার বিষয়ে পুরোপুরি জানত। তারা কারা, তা চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে।