কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই ভাইয়ের মধ্যে তাঁদের বাড়িটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ। এই বিবাদকে কেন্দ্র করে আগেও দুই ভাইয়ের তুমুল ঝামেলা হয়েছে। একই সীমানার মধ্যে দুই ভাইয়ের বসবাস। একটি পাঁচিল রয়েছে দুই ভাইয়ের বাড়ির মাঝে। কিন্তু সেই বাড়িটির সীমানা এবং সম্পত্তি সংক্রান্ত একাধিক কারণ নিয়ে ঝামেলা লেগেই থাকত। প্রদীপবাবুর স্ত্রী পিয়ালি চট্টোপাধ্যায় বলেন, রবিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ আমার স্বামীর সঙ্গে দেওরের ঝামেলা বাধে। সেই ঝামেলা রাস্তায় বেরিয়ে আসে। রীতিমতো হাতাহাতি হয়। প্রত্যক্ষদর্শী পড়শিরা জানান, অলোকবাবুর হাতে সেই সময় মারাত্মকভাবে প্রহৃত হন প্রদীপবাবু। ঘটনার সময় প্রদীপবাবুর ছেলে দেবারূপ বাড়িতে ছিলেন না। তিনি কর্মস্থল থেকে ফিরে গলফ গ্রিনের বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। দুই ভাইয়ের স্ত্রীরাও তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। প্রথম দফায় মারপিট হওয়ার পর স্থানীয়দের চেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। দুই ভাই যে যাঁর ঘরে চলে যান। কিন্তু ছোট ভাইয়ের হাতে মারধরের অপমান সহ্য করতে পারেননি প্রদীপবাবু। তিনি ফের বেরিয়ে আসেন এবং ভাইয়ের সঙ্গে আবার মারপিটে জড়িয়ে পড়েন। পুলিসের কাছে অভিযোগ করা হয়, হাতাহাতির সময় অলোকবাবু ধাক্কা দিলে প্রদীপবাবু রাস্তায় পড়ে গিয়ে বুকে প্রচণ্ড চোট পান এবং অচৈতন্য হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা ছুটে এসে তাঁকে যোধপুর পার্কের ওই হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে ছুটে আসেন দেবারূপও। আসেন অভিযুক্ত ছোট ভাই ও তাঁর ছেলেও। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁদের বলেন, অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে প্রদীপবাবুর। বাবার মৃত্যুতে রীতিমতো ভেঙে পড়েন দেবারূপ।
মৃতের স্ত্রী পিয়ালি চট্টোপাধ্যায় এদিন যাদবপুর থানায় দাঁড়িয়ে বলেন, মাঝেমধ্যেই ঝামেলা হতো দুই ভাইয়ের। কিন্তু এভাবে হাতাহাতিতে আমার স্বামীর মারা যাবেন, তা ভাবতে পারিনি। অন্যদিকে, অভিযুক্তের ছেলে বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট যা বেরবে, সেটাই মেনে নেব। ঘটনা তো ঘটেছে। তা অস্বীকার করার নয়। ১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তথা কাউন্সিলার তপন দাশগুপ্ত বলেন, নিত্যদিন প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ও অলোক চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা লেগেই থাকত। রবিবার রাতে সেই হাতাহাতিতেই প্রদীপবাবুর মৃত্যু হয় বলে জানতে পারি।
যাদবপুর থানার পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও বয়ান লেখায় সমস্যা হওয়ায় সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযোগ নেওয়া ঝুলে থাকে। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ অবশেষে পিয়ালিদেবীর অভিযোগ নেন যাদবপুর থানার আধিকারিকরা। রাতেই অভিযুক্ত ভাইকে আটক করা হয়।