কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ৬৯ হাজার ৪৭টি ভোট পেয়েছিলেন। সিপিএম প্রার্থী ভোট পেয়েছিলেন ৪৫ হাজার ৫১৭টি ভোট, বিজেপি প্রার্থী ৩৫ হাজার ৯২৪টি ভোট পেয়েছিলেন। আর কংগ্রেস প্রার্থী ৫ হাজার ৫৩৯টি ভোট পেয়েছিলেন। এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল লিড পেয়েছিল ২৩ হাজার ৫৩০ ভোট। তার ঠিক দু’বছর পরই বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ৭৩ হাজার ৫৪৫টি ভোট পেয়েছিল। এই কেন্দ্রে বামফ্রন্ট সমর্থনে কংগ্রেস প্রার্থী ছিল। জোট প্রার্থী ৭০ হাজার ৫১৫টি ভোট পেয়েছিলেন। বিজেপি ১৪ হাজার ৯০৫টি ভোট পেয়েছিলেন। মাত্র ৩ হাজার ৩০ ভোটে তৃণমূল প্রার্থী এই বিধানসভায় জয়ী হয়েছিলেন। পূর্ব পানিহাটি শহর তৃণমূলের সভাপতি সম্রাট চক্রবর্তী বলেন, গত লোকসভার লিডের সঙ্গে বিধানসভার জয়ের ব্যবধান দেখলে মনে হবে, ২০ হাজার ভোট আমাদের হাতছাড়া হয়েছে। কিন্তু গত লোকসভা ভোটে আমাদের প্রাপ্ত ভোট এবং বিধানসভা ভোটে আমাদের প্রাপ্ত ভোট বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাবে, আমাদের ভোট খুব বেশি কমেনি। তাছাড়া এখানে দলের মধ্যে কোনও কোন্দল নেই। সকলে জোটবদ্ধ হয়ে দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দলীয় কর্মীরা সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। আর গত বিধানসভায় জোটের প্রার্থী হওয়ায় কিছুটা বেশি ওরা ভোট পেয়েছিল। এবার চর্তুমুখী লড়াই। বিরোধীদের ভোট কাটাকাটি হবে। আমাদের ভোট ব্যাঙ্ক অটুট রয়েছে। ফলে এবার লিডের মার্জিন বাড়বে। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, গত বিধানসভায় বামফ্রন্ট আর কংগ্রেসের জোট এবং মিডিয়ার অপপ্রচারে সাধারণ মানুষ ধরে নিয়েছিল, তৃণমূল আর ক্ষমতায় আসবে না। তাতে কিছু মানুষ ওদের পক্ষে চলে গিয়েছিল। আমাদের দলের কর্মী সমর্থকরাও কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে ওদের দিকে চলে গিয়েছিল। তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে। সকলেই আমাদের দিকে ফিরে এসেছে। তাছাড়া এই এলাকায় আমরা প্রচুর উন্নয়ন করেছি। ফলে এবার এই বিধানসভা থেকে আমাদের প্রার্থী সৌগত রায় অনেক বেশি লিড পাবেন।
সিপিএমের পানিহাটি বিধানসভার আহ্বায়ক দুলাল চক্রবর্তী বলেন, ওরা যদি অতই উন্নয়ন করে থাকে, তাহলে বিধানসভায় সামান্য ভোটে জিতল কেন? আসলে মানুষ ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দলের কর্মী সমর্থকরা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। এবার মানুষ নিজের ভোট দিতে পারলে ওরা কতটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, তা টের পাবে। বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলির সাধারণ সম্পাদক চণ্ডীচরণ রায় বলেন, লোকসভা নির্বাচন জাতীয় স্তরের নির্বাচন। এখন মানুষ মোদিকে চাইছেন। তৃণমূল, সিপিএমের মতো আঞ্চলিক দলকে ভোট দিয়ে মানুষ নিজেদের ভোট নষ্ট করবেন না। কেন্দ্রে মজবুত সরকার গঠন করার জন্য এই বিধানসভার মানুষ বিজেপিকে ভোট দেবে।