কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এইসব এলাকায় জলসঙ্কটের কথা স্বীকারও করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়রের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে নির্দেশ দেন, জলসঙ্কট মেটাতে যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ করতে হবে। মেয়রের দায়িত্ব নিয়ে ফিরহাদসাহেব জলসঙ্কট মেটাতে একাধিক বৈঠক করেছেন। একাধিক সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। কিন্তু দক্ষিণ শহরতলির বিস্তীর্ণ এই অংশের বাসিন্দাদের কথায়, এখন শীত-গরম বলে কিছু নেই। বছরের সিংহভাগ সময়ই পানীয় জলের সঙ্কটে ভোগেন তাঁরা। বাধ্য হয়ে ভূগর্ভস্থ নলকূপের ব্যবস্থাও কেউ কেউ করে নিচ্ছেন। এতে মাটির তলায় জলে টান পড়ছে।
দক্ষিণ শহরতলির এই এলাকাগুলিতে শাসকদলের জনপ্রতিনিধিই সবথেকে বেশি। তাঁদের কেউ কেউ স্বীকার করেছেন, জলসঙ্কট তো ছিলই। কোনও কোনও এলাকায় ঘোলা জল বিপত্তি বাড়িয়েছে। যেকারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের জবাবদিহির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। বাসিন্দারা জানান, পুর প্রশাসনের কর্তারা যতই দাবি করুন না কেন, আদপে এলাকার জলকষ্ট গরম পড়লেই তীব্র আকার ধারণ করে। আশা করা হয়েছিল, ধাপা জল প্রকল্প চালু হয়ে গেলে সেই কষ্ট লাঘব হবে। কিন্তু সেই প্রকল্পের পাইপ এখনও এলাকার সব অংশে পৌঁছয়নি। ফলে বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল আজও আসেনি। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, দক্ষিণ শহরতলির জলকষ্ট লাঘবের চেষ্টা আমরা করছি। আমাদের শহরে ভূগর্ভে পাইপ লিকের জন্য গ্যালন গ্যালন জল নষ্ট হচ্ছে। সেইসব পাইপ বদলে ফেলতে হবে। নাহলে ‘জ্যাকেটিং’ করতে হবে। যাতে জল বেরিয়ে না যেতে পারে।
জল সরবরাহ বিভাগের এক কর্তার কথায়, দক্ষিণ শহরতলির ৯৫-১১০ নম্বর ওয়ার্ডের অনেক জায়গায় জলের সমস্যা রয়েছে। তবে আগের তুলনায় কমেছে। পাইপ বসানোর কাজ চলছে। কবে জলের সমস্যা পুরোপুরি লাঘব করা যাবে, তা নিয়ে কোনও কর্তাই স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। বিভাগীয় ডিরেক্টর জেনারেল মৈনাক মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ধাপা জলপ্রকল্প থেকে বেশিরভাগ অংশই এখন জল পাচ্ছে। বাকি অংশগুলি আর কিছুদিনের মধ্যে পাবে। অবশ্য তাঁর বিভাগের এক আধিকারিকের কথায়, গরমের জেরে জলস্তর অনেকটাই নেমে যায়। তাই জল পরিশোধন প্রকল্পে চাহিদা মতো জল সর্বদা মিলছে না। অপরদিকে, জলের চাহিদাও ক্রমশ বেড়েই চলেছে। টালিগঞ্জ, কসবা, যাদবপুর এই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সিংহভাগ এলাকার বাসিন্দারাই জলকষ্টে সবথেকে বেশি জর্জরিত। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইসব এলাকায় জল সরবরাহের জন্য তিনটি জলাধার রয়েছে। ধাপা জলপ্রকল্প থেকে ওই জলাধারগুলিতে জল যায়। আনন্দপুর, মুকুন্দপুর এবং পাটুলির তিনটি জলাধার থেকেই জল সরবরাহ হয়। পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের কর্তাদের কথায়, এখনও পর্যন্ত পাঁচটি ছোট জলাধার তৈরি করা হয়েছে। যেগুলির ক্ষমতা ০.২ থেকে ০.৩ মিলিয়ন গ্যালন।