পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এমনিতেই নানা সময় রাজ্যের বিভিন্ন জেলে বন্দিদের খাবার ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে নানা অভিযোগ তুলেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। তা নিয়ে তারা নানা আন্দোলনেও শামিল হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতেই নানা সূত্র থেকে খবর পেয়েই মুখ্য বিচারক হানা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সি জেলে। তিনি প্রথমে এই সংশোধনাগারের হাসপাতাল, মেডিক্যাল ইউনিট, রন্ধনশালা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এরপরই তিনি জেলের কর্তাদের বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করতে বিচারাধীন ও দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের সেলেও যান। চিকিৎসা, খাবার এবং অন্য বিষয় নিয়ে তিনি বিস্তারিত কথা বলেন বন্দিদের সঙ্গে। মুখ্য বিচারক বন্দিদের জানিয়ে দেন, কোনও সমস্যা হলেই তাঁরা যেন আইনজীবীদের মাধ্যমে তা কোর্টের নজরে আনেন। বিচারক জেলের মেডিক্যাল ইউনিটটির দিকেও ভালোভাবে নজর দেওয়ার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। সব মিলিয়ে একবারে গোপনে মুখ্য বিচারকের এই অভিযান নিয়ে এখনও তটস্থ জেল কর্তৃপক্ষ।
জেল সূত্রের খবর, এর আগে কোনও ভিআইপি বা বিচারক জেলে এলে জেল কর্তৃপক্ষ তা আগাম জানতে পারত। কিন্তু কলকাতা নগর দায়রা আদাতের মুখ্য বিচারক এই সংশোধনাগারে হানা দেওয়ার বিষয়টি জেল কর্তৃপক্ষ আগাম কিছুই জানত না। এদিকে, মুখ্য বিচারক মাঝে মধ্যেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে এই ধরনের অভিযান চালাবেন বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।