কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় বিয়ের লগ্ন ছিল। তার আগেই পাত্রপক্ষের আসার কথা ছিল। কিন্তু, রাত ১০টা নাগাদ বর এসে পৌঁছায়। বিয়ের প্রস্তুতি শুরু হওয়ার পরই পাত্রীপক্ষ বলে, আগে রেজিস্ট্রি হবে। তারপর সামাজিক বিয়ে হবে। তখন পাত্র জানান, এমনিতেই দেরি হয়ে গিয়েছে। আগে সামাজিক বিয়ে হয়ে যাক। সাতদিন পর তিনি রেজিস্ট্রি করে নেবেন। এ নিয়ে এক কথা, দু-কথা থেকে বচসা শুরু হয়। পাত্রীপক্ষের সঙ্গে পাত্র এবং পাত্রপক্ষের লোকজন চরম বচসায় জড়িয়ে পড়েন। বিয়ের রেজিস্ট্রি করবেন বলে বাইরে থেকে রেজিস্ট্রারও এসেছিলেন। তাঁর সামনেই এই বচসা চলছিল। তিনি এই দৃশ্য দেখে হকচকিয়ে যান। পাত্রপক্ষ দেরিতে আসায় তখন পাত্রীপক্ষের খাওয়াদাওয়া চলছিল। পাত্রপক্ষের কেউই খাবার টেবিলে বসেননি। গণ্ডগোল শুরু হওয়ার পর খাওয়াদাওয়াও কার্যত থেমে যায়।
বচসা চলাকালীন আচমকা পাত্র ছাদনাতলা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, আমি বিয়ে করব না। তারপর সোজা টোপর খুলে বরের পোশাকেই বিয়ের আসর ছেড়ে পালিয়ে যান। পিছনে পিছনে পাত্রীপক্ষ এবং পাড়ার লোকজনও দৌড়ে যান। কিছুটা দূরে পাত্রকে তাঁরা পাকড়াও করেন। তারপর আরও গণ্ডগোল বাড়ে। তখন পাত্রীপক্ষ এবং এলাকার লোকজন ঠিক করেন, পাত্রকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এরপর তাঁরা বর পোশাকেই পাত্রকে নিয়ে সোজা দত্তপুকুর থানায় যান। পাত্রপক্ষও পিছু পিছু থানায় যান। কিছুক্ষণ পর কার্যত বিয়ের আসরের সব ভিড় গিয়ে পড়ে থানায়। পাত্রীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস রাতেই পাত্রকে গ্রেপ্তার করে।
এক পুলিস অফিসার বলেন, পাত্র বিয়ে করতে এসেও বিয়ে করেননি বলে অভিযোগ। তাই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার জন্য ৪২০ ধারা এবং বিয়েতে যৌতুক নেওয়ার জন্য ৪০৬ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তদন্ত চলছে।