কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
যাদবপুর থানার ২/৯৪/১১ বিজয়গড়ে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে দুটো নাগাদ ফ্ল্যাটে অগ্নিদগ্ধ হন শিখা দত্ত। মাঝরাতে ফ্ল্যাটে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে অগ্নিদগ্ধ শিখাদেবীকে উদ্ধার করে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তিনি মারা যান। শিখা দত্তের হোটেল কাম হোম ডেলিভারি ব্যবসা ছিল। এই হোটেলেই কর্মচারী হিসেবে কাজ করত নাটা। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে উধাও হয়ে যায় সে।
এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে নেমে, পলাতক নাটাকে মগরাহাট থেকে গ্রেপ্তার করে যাদবপুর থানার পুলিস। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে নাটা স্বীকার করে, গলায় ওড়না জড়িয়ে সে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে শিখাদেবীকে। কিন্তু হঠাৎ করে নাটা শিখাদেবীকে খুন করতে গেল কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে নাটা পুলিসকে জানিয়েছে, ঘটনার দিন শিখাদেবীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছিল। ঝগড়ার সময় নাটাকে যথেচ্ছ অপমান করেছিলেন শিখাদেবী। বিষয়টি মন থেকে মানতে পারেনি নাটা। তার কথায়, দশ বছর কাজ করার পর, শিখাদেবীর কাছ থেকে এই ব্যবহার আশা করিনি।
এই আক্রোশ মেটাতেই ১৮ এপ্রিল রাতে সে মদ্যপান করে শিখাদেবীর বাড়িতে যায়। উল্লেখ্য, আদতে বারুইপুরের বাসিন্দা নাটা রোজ রাতে কাজের পর শিখাদেবীর বাড়িতেই থাকত। তারপর ঘুমন্ত শিখাদেবীর গলায় ওড়না জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। এরপর প্রমাণ লোপাট করতে, শিখাদেবীর দেহে একাধিক ধূপকাঠি রেখে আগুন ধরিয়ে দেয়। যাতে সবার মনে হয়, আগুন লেগেই মৃত্যু হয়েছে শিখাদেবীর। পরে সেই ধূপকাঠির আগুনই গোটা ফ্ল্যাটে লেলিহান আকার নেয়। যদিও শেষ রক্ষা হল না।