পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়বাজার এলাকার একটি বেসরকারি সংস্থার দুই কর্মী অফিসের টাকা নিয়ে শহরে আসছিলেন। তাঁরা ১০ এপ্রিল বিহারের পাটনা থেকে এই টাকা নিয়ে ওঠেন। ১১ তারিখ বাসটি ডানকুনিতে পৌঁছয়। আচমকাই বাসটিকে আড়াড়াড়িভাবে আটকায় একটি স্করপিও গাড়ি। তাতে তিন দুষ্কৃতী ছিল। তারা সোজা বাসে উঠে পড়ে যাত্রীদের বলে, আমরা সিবিআই অফিসার। এই বাসে নগদ টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে খবর আছে। যা ভোটের কাজে ব্যবহার করা হবে। তারা সাত ও আট নম্বর সিটের কাছে চলে যায়। সেখানে বসেছিলেন বেসরকারি সংস্থার ওই দুই কর্মী। তাঁদের ব্যাগে তল্লাশি চালায় দুষ্কৃতীরা। টাকা দেখতে পেয়েই তাঁদের মারতে মারতে বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এরপর সকলের সামনেই ওই স্করপিও গাড়িতে তাঁদের তোলা হয়। বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গা তাঁদের ঘোরানো হয় বলে অভিযোগ। এরপর ডানলপের কাছে অভিযোগকারীদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তার আগে দু’জনের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা লুট করা হয় বলে দাবি অভিযোগকারীদের।
তদন্তে নেমে ডানকুনি থানার পুলিস টোলে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে। তা থেকেই স্করপিও গাড়ির নম্বর জোগাড় করা হয়। ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দু’জনকে গাড়িতে তুলছে দুষ্কৃতীরা। জানা যায়, গাড়িটি ঋণ নিয়ে একটি সংস্থা থেকে কেনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিস। সেখান থেকেই জানা যায় গাড়ির মালিকের পরিচয়। ইতিমধ্যে পুলিসের কাছে খবর আসে, অন্য আর একটি অপারেশনে বেরিয়েছে ওই দলটি। তাদের সঙ্গে রয়েছে আরেকটি গাড়ি। সেটি মাইতিপাড়া এলাকায় আসছে শনিবার। সেইমতো ডানকুনি থানার আইসি অনিরুদ্ধ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে পৌঁছে যায়। গাড়িটি আটক করা হয়। দেখা যায়, গাড়িতে তিনজন বসে রয়েছে। তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। জেরা করে জানা যায়, তারাই কয়েকদিন আগে ৩০ লক্ষ টাকা লুট করেছে। এদের মধ্যে ভারত পাল নামে এক দুষ্কৃতী ওই সংস্থায় আগে কাজ করত। বিহার থেকে যে টাকা আসছে, সেই খবর কোনওভাবে তার কাছে পৌঁছেছিল। সেইমতোই অপারেশন চালানো হয়। তাদের সঙ্গে থাকা গাড়ি থেকে মেলে ১৫ লক্ষ টাকা ও দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র। গাড়িতে মিনিস্ট্রি অব হোম অ্যাফেয়ার্সের বোর্ড লাগিয়েই তারা বিভিন্ন জায়গায় অপরাধ করে বেড়াত বলে জানা গিয়েছে। আর কোথায় কোথায় তারা এই গাড়ি নিয়ে টাকা লুট করেছে, তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।