বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ক্যাম্পাসে এক দল পড়ুয়াকে মারধর করার অভিযোগে ১৪ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার পর শাস্তিপ্রাপ্ত পড়ুয়ারা নানাভাবে ক্ষমা চেয়ে শাস্তি মকুব করার আর্জি জানিয়েছিলেন। এমনকী ধর্নাতেও বসেন তাঁরা। পরীক্ষায় যাতে ছাত্ররা বসতে পারেন, তাঁর আবেদনও করা হয়। শেষমেশ কর্তৃপক্ষের উপর চাপ দিতে গত ২ এপ্রিল থেকে অনশন শুরু করেছেন ১৪ জন পড়ুয়া। এই পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে ১৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউিটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়। সেখানেই পড়ুয়াদের দাবি কিছুটা মেনে নেওয়া হয়। ঠিক হয়, পড়ুয়াদের কোর্স শেষ করার সুযোগ দেওয়া হবে।
এই ছাড়ের পাশাপাশি অবশ্য একাধিক শর্তও লাগু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। যেমন এই ছাত্ররা কোনওদিনই হস্টেলে ঢুকতে পারবেন না। যতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া থাকবেন, ততদিন আর কোনও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠলে, তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে। প্রত্যেক শাস্তিপ্রাপ্ত পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকরা মুচলেকা দেবেন, ফের এমন ঘটনা হবে না এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন মানা হবে। এমন বয়ান দিয়ে মুচলেকা দিতে হবে। উপাচার্য বলেন, আমরা চাই ছাত্ররা তাঁদের এই আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিক। যদি তাঁদের কিছু বলার থাকে, তাহলে অনশন তুলে নিলে, আমরা তা শুনতে রাজি। কিন্তু ছাত্ররা এখনই অনশন তুলতে রাজি নন বলে জানিয়েছেন।
ছাত্রদের বিরুদ্ধে এমন কড়া পদক্ষেপ কেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন উপাচার্য। তিনি বিরক্তির সঙ্গে বলেন, এই ছাত্রদের বিরুদ্ধে আগে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। এমনকী কয়েকজন জেলও খেটেছেন। এফআইআর রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। প্রতিবার অপরাধ করে ভুল করেছি বলে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এবার যা করেছে, তাতে আর ক্ষমা করার কোনও জায়গা ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিল সর্বসম্মতভাবে এঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ করেছে, তা একপ্রকার নজিরবিহীন বলেই মত শিক্ষামহলের। কারণ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কায়দায় আন্দোলন হয়েছে, যেভাবে উপাচার্যের বিরুদ্ধে যা নয় তাই বলা হয়েছে, তারপরেও কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস দেখাতে পারেনি। উল্টোদিকে, আলিয়ায় পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা গ্রহণ বাকিদের পথ দেখাচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও সমালোচকদের দাবি, এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা যাদবপুর কিংবা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিতেই পারবে না কর্তৃপক্ষ। কারণ ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির চরিত্র আলাদ। তাছাড়া এই ররকম কোনও পদক্ষেপ করতে গেলে আগেই নানা বাধা আসবে।