বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়া আগে সোনাগাছির যৌনপল্লিতে থাকলেও কয়েক মাস ধরে সে শেওড়াফুলিতে গড়বাগানের আস্তানায় এসে থাকছিল। পুলিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর শাহিল বলেছে, বছর আড়াই ধরে সে মায়াকে নিয়ে সোনাগাছিতে থাকছিল। ওই সময়ে মায়ার কাছে সে তার রোজগারের টাকা গচ্ছিত রেখেছিল। কিন্তু কয়েক মাস আগে মায়া তাকে কিছু না জানিয়েই এখানে চলে আসে। তারপর এখানেও শাহিল যাতায়াত করছিল। ওই টাকা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই মায়ার সঙ্গে তার অশান্তি চলছিল। বৃহস্পতিবার সে গচ্ছিত রাখা টাকা ফেরত চাইলে মায়া তা দিতে অস্বীকার করে। তখনই উত্তেজনার বশে মায়াকে মারধর করার পাশাপাশি মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে চম্পট দেয়।
সোনাগাছিতে ফিরে শাহিল রটিয়ে দেয় মায়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। কিন্তু তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় দুর্বারের সদস্যরা মায়ার ঠিক কী হয়েছে তা জানতে চাইলেই অসংলগ্ন কথা বলতে থাকে। এরপর এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটকে রেখে শেওড়াফুলিতে মায়ার সম্পর্কে খবর নেয়। এরপর মায়ার মৃত্যুর কথা জানতে পেরে স্থানীয় বটতলা থানার পুলিসকে খবর দেয়। এরপর পুলিস এসে অভিযুক্তকে আটক করে। পরে শ্রীরামপুর থানার পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে।
দুর্বারের সদস্যা কাজল বসু বলেন, আমরা চাই অভিযুক্তর যেন কঠোর শাস্তি হয়। শ্রীরামপুর থানার তদন্তকারী অফিসার শুভাশিস দাস বলেন, টাকাপয়সা নিয়ে বিবাদের জেরেই শাহিল খুন করেছে বলে স্বীকার করেছে। এই খুনের ঘটনায় তাকে অন্য কেউ সাহায্য করেছিল কি না, সেই বিষয়ে তদন্তের জন্য আমারা পুলিস হেপাজতের আবেদন করে ছিলাম। আদালত চারদিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।