কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিবেকবাবুর দাবি, তিনি বাইরে ছিলেন। এদিন ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ তিনি হাওড়ায় নামেন। এসে দেখেন ঘর বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। চাবি ছিল ঘরের বাইরে। ঘর খুলে তিনি ওই দৃশ্য দেখতে পান। খাটের উপর একটি টুল রাখা ছিল। এক চিকিৎসককে ডাকার জন্য ফোন করা হয়। খুশবুদেবীর পাশেই ফ্ল্যাটে এক নার্স থাকেন। তাঁকে ডেকে দেখানো হয়। তাঁরা খুশবুদেবীর হাতের নাড়ি পাননি। তখন পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আর জি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিস জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর স্বামী বিবেক কুমারকে থানায় নিয়ে গিয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি দেখে প্রাথমিকভাবে এর পিছনে রহস্য রয়েছে বলে অনুমান। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দশেক আগে ওই দম্পতির বিয়ে হয়। এখানে তাঁরা দুজনেই থাকতেন। তবে বিহারে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শিক্ষকতা করার জন্য তাঁর স্বামী বেশিরভাগ দিনই বাইরে থাকতেন। ওই গৃহবধূ এখানে একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি করেন। ওই আবাসনের দোতলায় ৩০৪ নম্বর ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন খুশবুদেবী। সেখানেই এদিন তাঁর দেহটি উদ্ধার হয়েছে। ওই আবাসনে খুশবুদেবীর প্রতিবেশী তাপসী রায় জানান, এদিন সকাল ৭টা ২০ নাগাদ খুশবুদেবীর স্বামী আমাদের ডেকে ঘটনাটি দেখান। তাঁর স্বামী মাঝে মাঝে এখানে এসে থাকতেন। খুশবুদেবীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের কথা হত। কী থেকে কী হল আমরা বুঝতে পারলাম না।
আরেক প্রতিবেশী অসীম রায় জানান, গতকাল আমাদের ফিরতে অনেক রাত হয়েছে। এদিন সকালে ওই ঘটনার কথা জানলাম। আমাদের সামনাসামনি ওই ওদের ফ্ল্যাটের দরজা। কোনও দিন কোনও অস্বাভাবিক কিছু বুঝতে পারিনি। জানা গিয়েছে, এর আগে কেষ্টপুরে আরেকটি জায়গায় ভাড়া থাকতেন তাঁরা। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তাঁর স্বামী এদিন সকালে এসে নীচের গেটের চাবি পেলেন কীভাবে? খুশবুদেবী আত্মঘাতী হলে ঘরের চাবি বাইরে ঝুলবে কেন? হাত দুটি বাঁধা ও মুখে টেপ আটকানো অবস্থাই বা থাকবে কেন? পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তের জন্য মোবাইলের কল ডিটেলস খতিয়ে দেখা হচ্ছে।