রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
টাকা ফেরতের বিষয়ে কলকাতা জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দু’নম্বর ইউনিটে মামলা চলাকালীন ব্যাঙ্ক জানিয়ে দেয়, তাদের দিক থেকে কোনও খামতি ছিল না। টাকা গায়েব হওয়ার বিষয়ে তাদের কোনও দায়ও নেই। কারণ, অভিযোগকারীর কোনও আত্মীয় কার্ড কাজে লগিয়ে তাঁর অজান্তে এটিএম থেকে টাকা তুলে নিতে পারেন। তাছাড়া অভিযোগকারী অনলাইন কেনাকাটায় অভ্যস্ত, অনলাইন পেমেন্টে অভ্যস্ত। পিন এবং কার্ড নম্বর একমাত্র তাঁর কাছেই থাকে এবং তিনিই লেনদেন করেন। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের উপর দায় বর্তায় না। যদিও অভিযোগকারী দাবি করেন, তিনি এমন কোনও লেনদেন করেননি। টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে রাজ্যের বাইরে থেকে। ক্রেতা আদালত অবশ্য এক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের দায়কেই সামনে আনছে। তাদের বক্তব্য, লেনদেন হলে একটি এসএমএস গ্রাহকের মোবাইলে আসার কথা। তা আসেনি। এটি গাফিলতি ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা লঙ্ঘন করা হয়েছে। এটিএম থেকে অন্য কেউ টাকা তুলে নিয়েছে, এমন দাবির সাপেক্ষে কোনও সিসিটিভি ফুটেজ নেই। এমনকী টাকা তোলার কোনও স্লিপও নেই। অর্থাৎ ব্যাঙ্ক তার দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। জেলা ক্রেতা সুরক্ষা জানায়, অভিযোগকারীর অ্যাকাউন্ট থেকে যে টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছিল, সেখানে ১১ হাজার ৮৯ টাকা এবং ৫০০ টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ বাকি টাকা ফেরাতে হবে ব্যাঙ্ককেই। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ অবশ্য ওই বিচারে সন্তুষ্ট না হয়ে রাজ্য ফোরামে আপিল করে। সেখানেও তাদেরই পরিষেবায় গাফিলতি খুঁজে পেয়েছে আদালত। তাই অভিষেকবাবুকে আরও পাঁচ হাজার টাকা ফেরাতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য ফোরাম।