কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আদতে সন্তোষপুরের বাসিন্দা বছর আটচল্লিশের এক মহিলা চলতি মাসের ২৩ মার্চ সার্ভে পার্ক থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, ২০১৮ সালের জুন মাসে তিনি জনপ্রিয় ভারত ম্যাট্রিমনি সাইটে বিয়ের জন্য তাঁর ছবি সহ প্রোফাইল আপলোড করেন। ওই মহিলা রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্পাত সংস্থার উঁচু পদে কর্মরতা। তিনি ডিভোর্সি। ওই বছরের অক্টোবর মাসে অরিন্দম ভৌমিক পরিচয় দিয়ে এক যুবক তাঁর সঙ্গে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে আলাপ জমায়।
সেই আলাপে হবু বর নিজেকে বড় ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিয়েছিল। এই আলাপের জেরেই শ্রাবণীদেবী শহরের বিভিন্ন রেস্তরাঁয় হবু বরের সঙ্গে বার তিনেক দেখাও করেন। এরপর চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি শ্রাবণীর কাছে থেকে ব্যবসার জরুরি প্রয়োজনে ৪০ হাজার টাকার একটি ‘চেক’ নেয় অরিন্দম। চেক ‘ক্যাশ’ হওয়ার পর থেকেই অরিন্দম নানা অছিলায় শ্রাবণীকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে বলে অভিযোগ। এমনকী পরে সে শ্রাবণীর মোবাইল নম্বর ‘ব্লক’ করে দেয় বলে অভিযোগ।
শ্রাবণীর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর সার্ভে পার্ক থানার পুলিস জামিন অযোগ্য প্রতারণা (৪২০) ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের (১২০বি) মামলা দায়ের করে তদন্তে নামে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পারে, অরিন্দম এই কায়দায় একাধিক মহিলাকে প্রতারিত করেছে। পুলিসের অনুমান, এই প্রতারণা চক্রে অরিন্দম ছাড়াও আরও কয়েকজন জড়িত বলে সন্দেহ। মূলত, ডিভোর্সি মহিলারাই ছিল অরিন্দমের ‘সফট টার্গেট’।
এরপরই রবিবার সন্ধ্যায় সার্ভে পার্ক থানার পুলিস এক মহিলাকে দিয়ে ফোন করিয়ে হাইল্যান্ড পার্কে একটি শপিং মলের সামনে ডেকে পাঠায় অরিন্দমকে। সেখানে আসামাত্র অভিযুক্ত সুশান্ত সরকার ওরফে অরিন্দম ভৌমিককে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিস। আদতে হাবরার বাসিন্দা ধৃত যুবকের মোবাইল ঘেঁটে অন্তত ১০-১২ জন ডিভোর্সি মহিলার মোবাইল নম্বরের সন্ধান পেয়েছে।