কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বপন দেবনাথের বাড়ি ঢোলাহাট থানার নাকালিতে হলেও তিনি স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন শ্বশুরবাড়ি ভীমনগরে। স্বপনবাবুর দুই ছেলে অবশ্য বিবাহিত এবং তাঁরা নাকালিতেই থাকেন। স্বপনবাবু এবং তাঁর স্ত্রী জরির কাজ করেন। শ্বশুরবাড়িতে থেকেই তাঁরা দীর্ঘবছর ধরে এই কাজ করতেন।
তাঁদের পরিজনদের কথায়, ওই দু’জনের মধ্যে কলহ নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এমনকী, আগে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগও ছিল ওই গৃহকর্তার বিরুদ্ধে। যা নিয়ে অবশ্য বাড়াবাড়ি হয়নি। কিন্তু রবিবার গভীর রাতে দু’জনের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়। সেই সময় ৫৫ বছর বয়সি স্বপনবাবু ধারালো অস্ত্র দিয়ে শুক্কুরিকে কোপায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শুক্কুরিদেবী। তারপরই সেখান থেকে পালিয়ে যান স্বপন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, সোমবার ভোরে ঘরের ভিতরে শাড়ির উপরের জরির কাজ করতে এসে এলাকার মহিলারা ওই গৃহবধূকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। জখম অবস্থায় ওই গৃহবধূ তাঁদের বলেন, তাঁর স্বামী তাঁকে ইলেকট্রিক শক দিয়েছে। তারপর অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে। এরপরই স্থানীয়দের মাধ্যমে থানায় খবর গেলে পুলিস এসে জখমকে কুলপি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই গৃহবধূর দেহের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
এদিকে, এরপরই খোঁজ শুরু হয় স্বপন দেবনাথের। জখম গৃহবধূর দাদা বলেন, চারপাশে খোঁজ শুরু করতেই এলাকার যুবকরা এসে জানান, কিছুটা দূরে একটি মাঠে গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে গাছের সঙ্গে ঝুলে পড়েছেন ওই প্রৌঢ়। পুলিস তখনই সেখানে যান। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ঘটনার আকস্মিকতায় দম্পতির ছেলেরাও হতভম্ব। তাঁদের কথায়, মা-বাবার ঝামেলা হত। কিন্তু এতটা বাড়াবাড়ি কখনও হয়নি।