কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সপ্তাহখানেক আগে ভিক্টোরিয়ার মধ্যে ড্রোন উড়িয়ে ধরা পড়েন এক চীনা নাগরিক। তাঁর কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় ওই ড্রোনটি। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই সেটি ওড়ানো হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর পাসপোর্ট। জানা যায়, ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়েই তিনি এদেশে এসেছেন। ভারত থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা পাচারের মতলবে এদেশে এসেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। সোমবার তাঁকে ফের আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী আদালতে ব্যাখ্যা দেন, অনুমতি ছাড়া ড্রোন উড়িয়ে তিনি ভিসার নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। এর সঙ্গে দেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে। ড্রোনে তোলা ছবি যে পাচার করা হতো না, সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা কোথায়? যদিও অভিযুক্তের আইনজীবী ব্যাখ্যা দেন, কোনও অপরাধমূলক উদ্দেশ্য নিয়ে ওই চীনা নাগরিক ছবি তোলেননি। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করে।
জামিন হয়ে গেলেও ওই চীনা নাগরিকের বিরুদ্ধে তদন্ত এখনই শেষ হচ্ছে না। ফরেনসিক রিপোর্টের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তদন্তকারী অফিসারদের কথায়, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, অন্য দেশের নাগরিক ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে এদেশে ঢুকে গুপ্তচর বৃত্তির কাজ করছে। এক্ষেত্রে ধৃত চীনের নাগরিক হওয়ায় এই বিষয়টি তাঁদের আরও বেশি করে ভাবাচ্ছে। জেরাপর্বে তিনি বিভিন্ন বিষয় গোপন করার চেষ্টা করায় তাঁর প্রতি সন্দেহ আরও বেড়েছে। একই প্রশ্নের উত্তর তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম দিয়েছেন। তা ইচ্ছাকৃতভাবেই করেছেন, নাকি ভাষাগত সমস্যার কারণে হয়েছে, তা আলাদা করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আদালতের কাছে পুলিস আবেদন করতে পারে বলে খবর।