পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মাসখানেক আগে গড়িয়াহাটের মোড়ে অগ্নিকাণ্ডের পর শহরের হকারদের প্লাস্টিকের ছাউনি ব্যবহার নিয়ে কড়া হয় পুরসভা। গড়িয়াহাটের পাশাপাশি নিউ মার্কেট, ধর্মতলা এবং হাতিবাগানের হকারদের প্লাস্টিকের ছাউনি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয় পুরসভা ও পুলিস। সেই সময় পুরসভার তরফে জানানো হয়, কোনওভাবেই প্লাস্টিকের ছাউনি রাখা যাবে না। কিছুদিনের মধ্যে পুরসভার তরফেই চলমান স্টল বানিয়ে দেওয়া হবে। ব্যবসা করতে হবে সেই স্টলেই। এদিকে, বেশিরভাগ হকারেরই জামাকাপড়ের স্টল হওয়ায় বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে শেষমেশ টিনের ছাউনিই দিতে শুরু করেছেন তাঁরা। রবিবার শ্যামবাজার-হাতিবাগান গিয়ে দেখা গেল, সারি সারি স্টল সেজে উঠেছে নীল-সাদা টিনের ছাউনিতে। লোহার কাঠামো দিয়ে বেঁধে বেশ শক্তপোক্ত স্টল বানিয়ে নিয়েছেন হকাররা। জামাকাপড়ের বিক্রেতা রাজু সিংহ, বাপি গঙ্গোপাধ্যায়রা বলেন, ঝড়বৃষ্টির হাত থেকে মালপত্র বাঁচাতে কিছু একটা করতেই হত। আমরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে এগুলো লাগিয়েছি। কিন্তু পুরসভা তো আপনাদের স্টল দেবে। রাজু, বাপিরা বলেন, তখন বাধ্য হয়ে সরিয়ে নিতে হবে। কিন্তু আগে তো স্টল দিক পুরসভা। ততদিন আমরা এভাবেই চালাব। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক হকার অবশ্য কিছুটা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা না করেই জোর করে ছাউনি সরিয়ে নিতে বলল। আর যে স্টল দেবে, তাতে আমাদের ব্যবসা কতটা আগের মতো করা সম্ভব হবে, তা নিয়ে চিন্তা থাকছেই। এ ব্যাপারে কলকাতার ডেপুটি মেয়র তথা স্থানীয় কাউন্সিলার অতীন ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, হকার একটি আর্থ-সামাজিক সমস্যা। চটজলদি এই সমস্যার সমাধান হবে না। আমরা কাউকে ওইভাবে টিনের ছাউনি দিতে বলিনি। এখন পুরসভা কবে স্টল দেবে, তা মেয়র বা এ বিষয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলতে পারবেন।