গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের মাস কয়েক পরই এই জলাধার বসানোর ব্যাপারে তারা অনুমতি চেয়েছিল। বাজারের নির্মাণগত কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, তা যাচাই করার পরই সেটির অনুমতি দেওয়া হয়। পুর প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তা জানান, অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাদের বলে দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি দোকানে যেন উন্নতমানের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা হয়। নাহলে শুধু জলাধার বসিয়ে কোনও সুবিধা হবে না। আশুতোষবাবু বলেন, প্রতিটি দোকানেই পৃথক আধুনিকমানের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
অগ্নিকাণ্ডের পর একাধিক জলাধার বসানো হচ্ছে বাগরি মার্কেটের ছাদে। তার মধ্যে ১৪টি বসানো হয়ে গিয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি বসানো হবে। চলতি বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই সেসবের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরপর বসানো রয়েছে প্রতিটি পাঁচ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার ১৪টি জলাধার। সেগুলির সঙ্গে পাইপ লাগানোর কাজও প্রায় শেষ। ব্যবসায়ীদের কথায়, অগ্নিকাণ্ডের পর ছাদে জলাধার বসানো সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা ছিল। কারণ, নির্মাণও দুর্বল হয়ে গিয়েছে। তাই ছাদের কাঠামো বদল করা হয়। এরপরেও বিশাল জলাধারের ভার যদি এই ছাদ নিতে না পারে, তা ভেবেই ছোট ছোট জলাধার বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। শুধু জলাধার বসানোই নয়, বাগরির প্রতিটি তলেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঢেলে সাজা হয়েছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিটি দোকানে লাগানো হয়েছে স্মোক ডিটেক্টর ও স্প্রিঙ্কলার। ব্যবসায়ীরা জানান, আগের মতো শুধু করিডরে নয়, এবার প্রতিটি দোকানে স্প্রিঙ্কলার ও স্মোক ডিটেক্টর লাগানো হয়েছে।
মাসকয়েক আগে তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, নিজের সুবিধার জন্য দোকানের বাইরে যত্রতত্র মালপত্র আর ফেলে রাখা যাবে না। দোকানের ভিতরেই জিনিসপত্র রাখতে হবে। সেই নির্দেশকেও গুরুত্ব দিয়ে বাগরির প্রতিটি ব্লকে জায়গা রেখে ব্যাবসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আশুতোষবাবু বলেন, দমকলের ছোট গাড়ি ঢোকার জন্য পথ প্রশস্ত করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের সময় দমকলের কর্মীরা ঠিকমতো ঢুকতে না পারায় চরম সঙ্কট তৈরি হয়। মার্কেটের সামনে ডালা নিয়ে ব্যাবসা করাও নিষিদ্ধ করা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে।