রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জেলা তৃণমূলের সভাপতি (গ্রামীণ) পুলক রায় বলেন, গোবিন্দ আমাদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এলাকায় একটি রাস্তার কাজে তিনি দেখভাল করছিলেন। বিজেপির কিছু কর্মী সেখান থেকে কমিশন খাওয়ার জন্য তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করছিল। তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। সেজন্য তাঁকে খুন করা হয়েছে। দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করার জন্য আমি পুলিসকে কাছে অনুরোধ করেছি। যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি অনুপম মল্লিক এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এই এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা সকলেই জানে। তৃণমূলের এই কর্মী খুনের ঘটনা নিসন্দেহে দুঃখের বিষয়। কিন্তু দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই তিনি খুন হয়েছেন। আমরাও পুলিসকে বলেছি, নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হোক। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে প্রমাণ হবে এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলই দায়ী।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে পেশায় অটোচালক গোবিন্দবাবু অটো নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর অটো থামিয়ে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে। তিনি চিৎকার শুরু করলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় গোবিন্দবাবুকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার পরই এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এলাকার তৃণমূল কর্মীরা তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় জমান। খবর পেয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বও সেখানে পৌঁছয়। রাজাপুর থানার পুলিস রাতেই এলাকায় তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিস কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। রবিবার সকাল থেকেও এলাকায় উত্তেজনা ছিল। এদিন দুপুরে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রাতেই মৃতদেহ সৎকার করা হয়। এদিন স্থানীয় লোকজন দাবি করেছেন, এই এলাকায় ৪২ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি রাস্তার কাজ হচ্ছিল। এই কাজের দেখভাল করছিলেন গোবিন্দবাবু। তা নিয়ে এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর বিবাদ চলছিল। তার জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। যদিও পুলিস জানিয়েছে, খুনের বেশ কিছু সূত্র পাওয়া গিয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।