বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রের খবর, রোগিণী জানিয়েছেন, ছাতা দিয়ে চেহারা ঢাকা কোনও ব্যক্তি এই দুষ্কর্ম করেছেন। লুটের ধরন দেখে মনে হয়েছে এটি কোনও পাকা মাথার কেপমারির কাজ। জ্ঞান ফিরলে ওই রোগিণী মেডিক্যালের পুলিস ফাঁড়িতে অভিযোগ জানান। বউবাজার থানার পুলিস ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থল, অর্থাৎ মেডিক্যালের অধ্যক্ষের অফিস থেকে সেন্ট্রাল প্যাথোলজি যাওয়ার রাস্তার মাঝের অংশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখেই ছাতা মাথায় ওই মহিলার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ ধরে ঘোরাঘুরি করা এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মেডিক্যালের সুপার ডাঃ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। আমরা মাইকিং আরও বাড়াব। হাসপাতালে কেউ যাতে ঠগ-জোচ্চরের পাল্লায় না পড়েন, সেজন্য প্রতিদিন সতর্ক করা হবে দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগী ও বাড়ির লোকজনকে।
পুলিস ও হাসপাতাল সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি রক্তপরীক্ষা করাতে এদিন বেলায় মেডিক্যালে এসেছিলেন অসীমাদেবী। রক্তপরীক্ষা ও রিপোর্ট নেওয়ার কেন্দ্রীয় জায়গা সেন্ট্রাল প্যাথোলজি না চেনা না থাকায় তিনি আশপাশের কোনও ব্যক্তির সাহায্য চান। সেই ব্যক্তিই জায়গা চেনানোর অছিলার তার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে ভাব জমানোর চেষ্টা করে। তারপর অধ্যক্ষ অফিস থেকে সেন্ট্রাল প্যাথোলজি যাওয়ার রাস্তায় তাঁর নাকে রুমাল চাপা দিয়ে সংজ্ঞাহীন করার কোনও কেমিক্যাল বা ক্লোরোফর্ম জাতীয় জিনিস দেয়। অভিযোগপত্রে মহিলা জানিয়েছেন, জ্ঞান হারানোর আগে যেটুকু তার মনে পড়েছে, তার হাতের ব্যাগটা ছিনিয়ে নিয়ে নেয় ওই ব্যক্তি। ব্যাগে টাকা, গয়না সহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিল। জ্ঞান ফিরলে মোবাইল থেকে বাড়িতে ফোন করে গোটা ঘটনাটি জানান। তারপরে বাড়ির লোকের পরামর্শ মতোই স্থানীয় পুলিস ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ জানান। ঘটনার তদন্তে আসে বউবাজার থানার পুলিস। তারা অভিযোগকারিণীর সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে গোটা ঘটনাটি কীভাবে ঘটে, তার বিবরণ সংগ্রহ করে।