বিএনএ, চুঁচুড়া: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে চন্দননগর বিধানসভা থেকে গতবারের থেকে বেশি লিড দিতে হবে। শনিবার সারাদিন ধরে দফায় দফায় ম্যারাথন বৈঠক করে দলের বিদায়ী কাউন্সিলার, কর্মী ও ক্লাবগুলির কাছে এই আবেদন জানালেন বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন। কর্মীদের তিনি বলেন, শহর বা বিধানসভা এলাকায় কোথায়, কী হচ্ছে তা আপনাদের দেখতে হবে না। নির্বাচনের আগের কয়েকটা দিন নিজের বুথের উপর নজর দিন। ৩১ মার্চের মধ্যে প্রথম দফায় আপনার বুথের বর্তমান পরিস্থিতি কী রয়েছে, বুথে দল কতটা লিড বা পিছিয়ে থাকতে পারে, তার একটি পরিসংখ্যান জমা দিন। ওই তালিকা ধরে পরবর্তী ১৫ দিন যে সমস্ত এলাকায় আমরা পিছিয়ে পড়তে পারি বলে আপনাদের মনে হচ্ছে সেখানকার মানুষের কাছে যান। তারপর ১৫ এপ্রিল বুথের অবস্থার কতটা পরিবর্তন হয়েছে সে সম্পর্কে বুথ সভাপতিরা রিপোর্ট দিন। এরপর নির্বাচনের দু দিন আগে আমি আবার আপনাদের কাছে শেষ রিপোর্ট নেব। বড়বড় বুলি আউড়ে আর কেউ নেতা হলে চলবে না। কাদের সঙ্গে মানুষের জনসংযোগ কতটা রয়েছে আমি তার প্রমাণ চাই।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ১১টা নাগাদ শহরের একটি অনুষ্ঠান ভবনে প্রথমে চন্দননগর বিধানসভা এলাকার ৯২টি ক্লাবের প্রধান ও সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেন বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে ক্লাবগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর চন্দননগর পুরসভার ২৭ থেকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের দলের বিদায়ী কাউন্সিলার ও কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকেই কর্মীদের বুথের অবস্থা নিয়ে তিন দফায় রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বিধানসভা কেন্দ্রের লিড গত লোকসভা নির্বাচনের থেকে বেশি করার জন্য এখন থেকে মাঠে নামার নির্দেশ দেন।
ওই বৈঠকে সিপিএম ও বিজেপি থেকে ২০০ জন সমর্থক বিধায়কের হাত থেকে পতাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। দ্বিতীয় দফায় ১২ থেকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার ও কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। পরে সন্ধ্যায় চন্দননগর বিধানসভার আওতায় থাকা ভদ্রেশ্বর পুরসভার সবকটি ওয়ার্ডের দলীয় কাউন্সিলার ও কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। ভদ্রেশ্বরের বৈঠকেও দলীয় কর্মীদের একই নির্দেশ দেন ইন্দ্রনীলবাবু। আজ, রবিবার চন্দননগর পুরসভার বাকি ১১টি ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার ও কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন।