গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় আট-ন’মাস আগে তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় কলকাতা পুরভবনে ঢোকার সময় দেখেন, গেটের অদূরে তিন-চারজন নিরাপত্তা রক্ষী খোশমেজাজে বসে মোবাইলের বোতাম টিপতে ব্যস্ত। তিনি এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হন। তখন পুর কমিশনার খলিল আহমেদকে ডেকে নিরাপত্তা রক্ষীদের সতর্ক করেছিলেন। গত ডিসেম্বরে নানা কারণের জেরে মেয়র পদে বদল হয়েছে। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি পুর প্রশাসনে কার্যত ‘থমকে’ যাওয়া কর্মসংস্কৃতিকে ফেরাতে প্রথম থেকেই সক্রিয় হন। সেই কাজের অঙ্গ হিসেবেই পুর প্রশাসনের কর্মীদের পরিচয়পত্র চালু করেছেন। শুধু কর্মীদেরই নয়, মেয়র এবং মেয়র পরিষদ সদস্যরাও পরিচয়পত্র পরবেন বলে স্থির হয়। মেয়রের ঘনিষ্ঠ একজন জানিয়েছেন, ফিরহাদ সাহেবেরও মাঝেমধ্যে নজরে এসেছে, অনেক নিরাপত্তা রক্ষী মোবাইলের মধ্যেই নিজেদের নিয়োজিত রাখছেন। কেউ কেউ মেয়রের ঘরের সামনে বসেই স্মার্ট ফোনে আঙুল চালাতে ব্যস্ত। শুধু তিনি নন, পুর কমিশনার খলিল আহমেদ ও পুর সচিবেরও বিষয়টি নজরে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ওঠায় এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন পুর প্রশাসনের কর্তারা। তার ফলশ্রুতিতেই এদিন দুপুরে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন পুর সচিব।
পুর প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তার কথায়, বর্তমানে সিভিক ভলান্টিয়াররাই পুরভবনের সিংহভাগ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়াও রয়েছেন ঠিকা সংস্থার কর্মীরা। সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার নিরাপত্তা কর্মী রয়েছেন। চারটি প্রধান ফটক ছাড়াও অন্দরমহলের বিভিন্ন অংশে নিরাপত্তার কাজের সঙ্গে তাঁরা যুক্ত। কিন্তু দেখা যায়, শুধু অবসর সময়েই নয়, ব্যস্ত সময়েও অনেককে মোবাইল ঘাঁটতে। যা অনুচিত বলেই বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। তিনি বলেন, কলকাতা পুরসভা এমন একটি জায়গা, যেখানে দিনভর মন্ত্রী-আইএএস-আইপিএস বা অন্যান্য ক্ষেত্রের বিশিষ্টরা আসা-যাওয়া করেন। তাঁদের সামনে কেউ যদি মোবাইলে ব্যস্ত থাকেন, তা অনেকেই ভালো চোখে নেন না। আবার অনেক সময় এমনও হয়, নিরাপত্তা রক্ষীদের একাংশ মোবাইলে গেম বা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে এতটাই ব্যস্ত যে, মেয়র পরিষদ সদস্যরা কখনও সামনে দিয়ে হেঁটে গেলেও, তা তাঁরা বুঝতে পারেন না। এই ধরনের সংস্কৃতি এড়াতেই নিরাপত্তা রক্ষীদের মোবাইল ব্যবহারে রাশ টানা হল। পুর কমিশনার খলিল আহমেদ শুধুমাত্র ‘প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত’ বলা ছাড়া আর কোনও বাক্য খরচ করেননি।
তবে বিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়টিও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, কারও যদি ফোন আসে, তাহলে তিনি তা ধরতে পারবেন। অর্থাৎ কথা বলার ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ নেই।