কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিজেপির অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত ভোটে এই কেন্দ্রগুলিতে তৃণমূল ব্যাপক সন্ত্রাস করেছে। তার ফলে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি। যদিও তৃণমূলের দাবি, এর মধ্যে পাঁচটি কেন্দ্রে গত জানুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় লোকসভার উপনির্বাচন হয়েছিল। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। তাহলে সেখানে প্রতিটি কেন্দ্রে তৃণমূল লক্ষাধিক ব্যবধানে লিড পেল কী করে? আসলে এখন প্রার্থী খুঁজে না পেয়ে বিজেপি অহেতুক কুৎসা করছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত ভোটের তথ্য ও ঘটনা উল্লেখ করে বিজেপির পক্ষ থেকে পাঁচটি বিধানসভা আসন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই পাঁচটি বিধানসভার মধ্যে প্রথমেই আছে উদয়নারায়ণপুর। এরপর আছে বাগনান, আমতা, ডোমজুড় ও জগৎবল্লভপুর। এই পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল গত পঞ্চায়েত ভোটে অধিকাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল। যদিও এর মধ্যে আমতা, বাগনান ও উদয়নারায়ণপুরে গত বছর জানুয়ারি মাসে হওয়া লোকসভা উপনির্বাচনেও তৃণমূল বিজেপি প্রার্থীর চেয়ে প্রায় লক্ষাধিক ব্যবধানের লিড নিয়েছিল।
তৃণমূলের প্রশ্ন, পঞ্চায়েত ভোটে যদি সন্ত্রাস হয়ে থাকে, তাহলে গত বছর লোকসভা ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে হওয়া সত্ত্বেও এই ফল কেন? আসলে হারের ভয়ে আগে থেকেই বিজেপি সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলতে চাইছে। যদিও সিপিএমও গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিরোধীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিশেষ নজরদারি চালানোর জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাওড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার পর এই পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটারদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য রুটমার্চ করানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পর্যবেক্ষকদেরও এই পাঁচটি কেন্দ্রের দিকে বিশেষ নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।
জেলা বিজেপির সভাপতি (গ্রামীণ) অনুপম মল্লিক বলেন, এই এলাকায় তৃণমূলের জল্লাদ বাহিনী যে কীভাবে সন্ত্রাস করে, তা মানুষ জানে। পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীদের বিডিও অফিস থেকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে। মানুষের ভোটে জয়ী হওয়ার পরও বোর্ড গঠনের সময় বোমাবাজি করে বোর্ড গঠন ভেস্তে দিয়েছে। তাই আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছি। মানুষ অবাধ ভোট চায়। নির্বাচন কমিশন এবার সেটাই করবে বলে আশা করছি। জেলা কংগ্রেস নেতা তথা বিধায়ক অসিত মিত্র বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে আমার উপরও আক্রমণ হয়েছে। আমাদের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়েও পারেনি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি (গ্রামীণ) পুলক রায়। তিনি বলেন, লোকসভার উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট করেছিল। পর্যবেক্ষকরা এলাকায় ঘুরেছিলেন। তারপরও আমরা পাঁচ লক্ষের বেশি ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলাম। এবারও বিরোধীরা যত খুশি অভিযোগ জানাক। কিন্তু, এখনও বিজেপি প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারল না! এটা পঞ্চায়েত ভোট হলে তো বলত তৃণমূলের সন্ত্রাস! এখন কী জন্য প্রার্থীর নাম জানাতে পারছে না? আসলে ভাড়া করা লোক দিয়ে কী আর সব কিছু হয়?