বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে ওই যুবকের পরিবারে অশান্তি লেগেছিল। স্ত্রীও তাঁকে ছেড়ে চলে যান। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার তিন বন্ধু এসে মানবেন্দ্রকে বুঝিয়ে সুস্থ করে তোলা হবে বলে পরিবারের লোকজনকে তাঁরা জানান। সেই মতো তাঁরা রাতে মানবেন্দ্রর ঘরে থাকেন। এমনিতে বাড়িতে তিনি ইদানীং চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলেন। কারও সঙ্গে খুব বেশি কথা বলতেন না। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটালে সে ভালো হয়ে উঠবে বলে পরিবারের লোকজন আশা করেছিলেন। বন্ধুদের কথা তাঁরা মেনেও নেন। সারারাত তিন বন্ধু আর মানবেন্দ্র এক ঘরে ছিলেন। বন্ধুদের সঙ্গে ছেলে রয়েছে বলে পরিবারের লোকজন সন্দেহ করেনি। শুক্রবার সকালে তিন বন্ধু বাড়ি থেকে চলে যায়। বন্ধুরা বাড়ি থেকে বের হলেও ছেলে ঘর থেকে না বের হওয়ায় ঘরে ছেলে কী করছে তা দেখতে তাঁর মা যান।
ছেলেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তিনি চিৎকার করেন। যদিও ততক্ষণে পাড়ার লোকজন খবর পেয়ে তিন বন্ধুকে রাস্তাতেই আটকান। বিষয়টি পুলিসকে জানানো হয়। পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তিন বন্ধুকে পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুলিস জানিয়েছে, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য, মানবেন্দ্র মানসিক অশান্তি ভুগছিল। কিন্তু, এভাবে ঘরের ভিতর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল কেন? বন্ধুরা এসে তাঁকে বুঝিয়ে সুস্থ করার কথা বলেছিল। তাহলে সারা রাত ধরে তারা মানবেন্দ্রর সঙ্গে কী করেছিল তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিতে শুরু করেছে। বন্ধুদের উপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটেছিল, না বন্ধুরা বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর এই ঘটনা ঘটেছে তা পুলিস তদন্ত করে দেখছে।