গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
শুক্রবার সকালেই চুঁচুড়া ও বাঁশবেড়িয়া এলাকায় চাউর হয়ে যায় লকেট চট্টোপাধ্যায় এদিনই দুপুর ১টা নাগাদ এসে হংসেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেবেন। এই খবর চাউর হতেই অভিনেত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে চোখের দেখা দেখতে দুপুর সাড়ে বারোটার আগেই ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক অপেক্ষার পর দুপুর পৌনে ৩টা নাগাদ একটি সাদা ইনোভা গাড়িতে চেপে হাজির হন। তাঁর গাড়ি থামার পরেই বিজেপি কর্মীরা লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নামে স্লোগান দিতে শুরু করেন। ভিড় সামলে প্রার্থীকে মন্দিরে নিয়ে যেতে দলীয় কর্মীরা ব্যারিকেড তৈরি করেন। কিন্তু অভিনেত্রীকে একবার দেখতে সাধারণ মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েন। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে বিজেপি কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এরই মাঝে কর্মীদের প্রচেষ্টায় কোনও রকমে পুজো দিয়ে মন্দির ছাড়েন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
পুজো দিয়ে আসার পর জেলা কার্যালয়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, শিল্প ও কৃষিতে উন্নয়নের নামে ধোঁকাবাজি এবং সাত বছরের বাংলায় সন্ত্রাসের শেষ দেখতে চাই। পাড়ায় পাড়ায় শ্যুটআউট, মহিলাদের আক্রমণের ঘটনার পরিবর্তন চাই। এই রাজ্যে সাত বছর ধরে অশুভশক্তির যে আস্ফালন তার পরিবর্তন চাই। সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি শুধু ভোটে জেতার জন্য আসিনি। দল যখন যেখানে যে দায়িত্ব দিয়েছে চার বছর ধরে তা পালন করেছি। বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থেকে আমি বিধানসভায় লড়াই করেছিলাম, সেখানকার মানুষ জানেন পরাজিত হওয়ার পরেও আমি সেখানে বিভিন্ন আন্দোলনের জন্য বারবার ছুটে গিয়েছি। তাই হারা জেতাটা আমার কাছে কোনও ফ্যাক্টর নয়।
লকেট চট্টেপাধ্যায় বলেন, সিঙ্গুর ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেখানকার কৃষকদের কোনও লাভ হয়নি। এখনও তাঁদের জমি চাষযোগ্য হয়নি। তাই এই সরকারের ভাঁওতাগুলিকে আমরা মানুষের কাছে তুলে ধরব। ৩ নম্বর গেটের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকের পরেই সেখান থেকে পিপুলপাতি মোড় পর্যন্ত হেঁটে পথচলতি মানুষের কাছে প্রচার চালান।
অন্যদিকে, এদিন সাড়ে ১১টা নাগাদ শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দেবজিৎ সরকার দলীয় কার্যালয়ে হাজির হন। পরে দলীয় কার্যালয় থেকে বর্তমান জেলা সভাপতি ও কিছু কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে যান। মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরনোর পর সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমার বিপক্ষে প্রার্থী কে বা তিনি কতটা হেভিওয়েট তা নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। আমি আমার রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে মানুষের কাছে যাব। গত পাঁচ বছরে বিজেপি সরকার মানুষের জন্য কী কী কাজ করেছে তা তুলে ধরব। আর তাতেই বিপক্ষের প্রার্থীকে কুপোকাত করতে পারব বলে আশা করছি।