বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কে সবশুদ্ধ ৪৮ জন ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্ট কাজ করেন। দোলের ছুটির নেওয়ায় সেদিন তিনটি শিফট মিলিয়ে ডিউটি করেছেন মাত্র ন’জন। মর্নিং এবং ইভনিং উিউটিতে ছিলেন চারজন করে। আর নাইট উিউটিতে একজন!
কী বলছেন কর্তারা? শুক্রবার এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কের অধিকর্তা ডাঃ স্বপন সোরেন বলেন, রক্তদান শিবির ছিল না। উপাদান পৃথকীকরণও হয়নি। তাই বেশি লোক থেকে কী হবে? ডিউটি রোস্টার হিসেবে যে ক’জন ডিউটিতে ছিলেন, প্রত্যেকেই এসেছিলেন। তাছাড়া আমাদের রক্তের স্টক আছে। কেউ রক্ত না পেয়ে ফেরত গিয়েছেন, এমন অভিযোগ আসেনি।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন, শিবির না থাকায় চাপ কম ছিল। ডিউটি রোস্টার অনুযায়ী প্রত্যেকেই এসেছিলেন। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জমা পড়লে নিশ্চয়ই তদন্ত হবে। রাজ্য রক্ত সঞ্চালন পর্ষদের সদস্য অচিন্ত্য লাহা বলেন, উৎসব, ভোট, গরম—এইসব সময়ে রক্তের সঙ্কট হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু, সেই পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলাও তো করতে হবে। চারদিক থেকে রক্ত নিয়ে ভোগান্তির খবর আসছে। কেন এমন হবে?
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, শুধু সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কই নয়, এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহ বহু ব্লাড ব্যাঙ্কেই ব্যাপকভাবে রক্তের সঙ্কট শুরু হয়েছে। ১৯ মার্চ অনিমেষ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ৬২ বছর বয়সি এক হার্টের রোগীর অপারেশন পিছিয়ে যায় ‘ফ্রেশ’ ব্লাড না পাওয়ায়। শেষে তাঁর অপারেশন হয় ২২ মার্চ। শ্রাবণী হালদার, তসলিম বিবির মতো রোগীদেরও একই ধরনের ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে। শ্রাবণীদেবীর ক্ষেত্রে এবি পজিটিভ রক্তের প্রয়োজন ছিল। তসলিম বিবির ক্ষেত্রে প্রয়োজন ছিল এ পজিটিভ রক্ত। এই দু’জনের মধ্যে একজনকে শেষমেশ একটি বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত কিনতে হয়েছে। অন্যজনের ক্ষেত্রে রক্তদাতা নিয়ে গেলেও ওই বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ককে ৭০০ টাকা দিতে হয়েছে।