শুক্রবার তাপমাত্রা আরও বাড়ল কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় যে তাপপ্রবাহ চলছিল তার মাত্রা অনেকটা বেড়ে যায় এদিন। দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও সন্নিহিত কয়েকটি জায়গা ছাড়া সর্বত্র তীব্র বা সাধারণ তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি ছিল।
চড়া রোদ, তাই পায়ে হেঁটে প্রচারের ঝুঁকি নিলেন না জয়নগরের তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থী। উল্টে একজন হুডখোলা গাড়িতে, অন্যজন টোটো নিয়ে এলাকা পরিক্রমা করেন। তবে শুক্রবার যে সময়ে কর্মসূচি রাখা হয়েছিল, তা নিয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যেই চাপা অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
লোকসভা ভোট ঘোষণার ঠিক আগে দেশজুড়ে সিএএ লাগু করে ভোটবাক্সে ফায়দা তোলার আশায় ছিল বিজেপি। কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে, সিএএ বিজেপির জন্য ব্যুমেরাং হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ততই জোরালো হচ্ছে। শুক্রবারের তপ্ত দুপুরে বারাকপুরের মাধব নিবাসে মতুয়া মন্দিরে গিয়ে তারই প্রমাণ মিলল।
‘ম্যাম, আকাশের রঙ কেন নীল?’ ‘আলোর থেকেও তাড়াতাড়ি কেউ ছুটতে পারে?’ এরকম অজস্র প্রশ্ন উল্কার মতো উড়ে এল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা রত্না কোলের দিকে। তিনি হাসিমুখে সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন।
রোদের তাপের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন ভোটপ্রার্থীরা। বাড়ছে প্রচারের উত্তাপ। গঙ্গাপাড়ের হাওড়া থেকে হুগলি— শুক্রবারও দাপিয়ে প্রচার করলেন প্রার্থীরা। রংবেরঙের পতাকা, কোথাও বেলুনে সাজানো টোটো, কোথাও তারকাপ্রার্থীর উপস্থিতি, সরগরম ছিল গঙ্গাপাড়ের দুই জনপদের তিন লোকসভা কেন্দ্র।
এক বেপরোয়া প্রাইভেট গাড়ির ধাক্কায় জখম হল দুই শিশু সহ তিনজন। শুক্রবার বিকেল ৪টে নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে মানিকতলা মেন রোডে বেঙ্গল কেমিক্যালের কাছে। ঘটনার পর দুই শিশু সহ জখম তিনজনকে বাইপাস লাগোয়া এক নামী বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০১৯’এর পর আরও একটা লোকসভা ভোট। মতুয়া ভোট নিজেদের ঝুলিতে টানতে নাগরিকত্বের ‘গাজর’ সিএএ ঝুলিয়েছে বিজেপি। প্রতিশ্রুতি ছিল, নিঃশর্ত নাগরিকত্ব। যদিও ঝুলি থেকে বেড়াল বেরনোর পর শর্তের পাহাড় নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে মতুয়া মহলে।
বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও বাখরাহাটে বড় কাছারি মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলি থেকে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলল। এরই মাঝে এখনও ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
কল্যাণী শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্ত রেল স্টেশনের কাছে বিধানপল্লি এলাকায় এক যুবক খুন হয়েছিলেন। এরপর প্রায় একদিন কেটে গেলেও অভিযুক্ত এখনও বেপাত্তা। বৃহস্পতিবার রাতে প্রেমিকার বোনের জামাইয়ের হাতে খুন হন ওই যুবক। মৃতের নাম উত্তম দাস (৩৫)।
ভোট প্রচারের ময়দানে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়। শুক্রবার সকালে সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য তাঁর নিজের পাড়া হালতুতে জোরদার প্রচার করলেন। বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় মোদির কাটআউট নিয়ে গেলেন বারুইপুরের রামনগর দু’নম্বর পঞ্চায়েতে।
কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিএনএ, বারাসত: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রে এবার প্রায় এক লক্ষ ৭৫ হাজার তরুণ প্রজন্মের নতুন ভোটার ভোট দেবেন। তাঁদের সকলেরই বয়স ১৮-১৯ বছর। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নতুন ভোটার রয়েছেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে। এখানে নতুন ভোটারের সংখ্যা ৪৭ হাজারের বেশি। জেলার মধ্যে সবচেয়ে কম নতুন ভোটার রয়েছেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রে। এখানে তাঁদের সংখ্যা ২২ হাজারের বেশি। এই নতুন ভোটারদের মধ্যে বেশিরভাগই জীবনে প্রথমবার ভোট দেবেন। তাই তাঁদের মধ্যে কৌতূহলও তুঙ্গে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসত, বনগাঁ, বসিরহাট, দমদম এবং বারাকপুর মিলিয়ে এই পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছেন ৮০ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯৫১ জন। তার মধ্যে এবার নতুন ভোটারের সংখ্যা এক লক্ষ ৭৪ হাজার ৮৭৯ জন। ২০১৮ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের পয়লা জানুয়ারি পর্যন্ত এই নতুন ভোটারদের নাম উঠেছে। বারাসত লোকসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৭ লক্ষ ১০ হাজার ৬৮৩ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটারের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৭৮০ জন। বনগাঁ লোকসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১৬ লক্ষ ৯৭ হাজার ১৪৬ জন। এই লোকসভায় নতুন ভোটারের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৩৯৮ জন। বসিরহাট লোকসভায় মোট ভোটার রয়েছেন ১৬ লক্ষ ৭৫ হাজার ৫০০ জন। এখানে নতুন ভোটারের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৪৪ জন। অন্যদিকে, দমদম লোকসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৫৬ হাজার ৭২৫ জন। এখানে নতুন ভোটার রয়েছেন ২২ হাজার ৯০৩ জন। বারাকপুর লোকসভায় মোট ভোটার রয়েছেন ১৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৮৯৭ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার রয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৪ জন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, নতুন ভোটাররা অনেক বেশি সচেতন। কারণ, এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব সক্রিয়। তাই এই নতুন ভোটারদের কাছে টানতে সব দলই মরিয়া। তৃণমূল কংগ্রেসের ২৪ পরগনা জেলার যুব সভাপতি পার্থ ভৌমিক বলেন, নতুন ভোটাররা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গেই থাকবেন। তাঁরা দেশের সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। বারাকপুরের তরুণরা এবার বিরোধীদের গুন্ডামির বিরুদ্ধে আমাদের ভোট দেবেন। অন্যদিকে, বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বিপ্লব হালদার, নতুন প্রজন্ম মোদিজির সঙ্গেই রয়েছেন। তাই নতুন ভোটাররা আমাদের সঙ্গেই থাকবেন। জেলার বাম নেতা তথা ফরওয়ার্ড ব্লকের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সম্পাদক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, নতুন ভোটাররা অনেক বেশি সচেতন। তাঁরা রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার দু’টোই সামনে থেকে দেখছেন। বর্তমানে তাঁদের কর্মসংস্থান বলে কিছু নেই। তাই আমরা আশা করব, তাঁরা বিবেচনা করেই বাম গণতান্ত্রিক প্রার্থীদের জয়ী করবেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসত, বনগাঁ, বসিরহাট, দমদম এবং বারাকপুর মিলিয়ে এই পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছেন ৮০ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯৫১ জন। তার মধ্যে এবার নতুন ভোটারের সংখ্যা এক লক্ষ ৭৪ হাজার ৮৭৯ জন। ২০১৮ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের পয়লা জানুয়ারি পর্যন্ত এই নতুন ভোটারদের নাম উঠেছে। বারাসত লোকসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৭ লক্ষ ১০ হাজার ৬৮৩ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটারের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৭৮০ জন। বনগাঁ লোকসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১৬ লক্ষ ৯৭ হাজার ১৪৬ জন। এই লোকসভায় নতুন ভোটারের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৩৯৮ জন। বসিরহাট লোকসভায় মোট ভোটার রয়েছেন ১৬ লক্ষ ৭৫ হাজার ৫০০ জন। এখানে নতুন ভোটারের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৪৪ জন। অন্যদিকে, দমদম লোকসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৫৬ হাজার ৭২৫ জন। এখানে নতুন ভোটার রয়েছেন ২২ হাজার ৯০৩ জন। বারাকপুর লোকসভায় মোট ভোটার রয়েছেন ১৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৮৯৭ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার রয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৪ জন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, নতুন ভোটাররা অনেক বেশি সচেতন। কারণ, এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব সক্রিয়। তাই এই নতুন ভোটারদের কাছে টানতে সব দলই মরিয়া। তৃণমূল কংগ্রেসের ২৪ পরগনা জেলার যুব সভাপতি পার্থ ভৌমিক বলেন, নতুন ভোটাররা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গেই থাকবেন। তাঁরা দেশের সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। বারাকপুরের তরুণরা এবার বিরোধীদের গুন্ডামির বিরুদ্ধে আমাদের ভোট দেবেন। অন্যদিকে, বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বিপ্লব হালদার, নতুন প্রজন্ম মোদিজির সঙ্গেই রয়েছেন। তাই নতুন ভোটাররা আমাদের সঙ্গেই থাকবেন। জেলার বাম নেতা তথা ফরওয়ার্ড ব্লকের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সম্পাদক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, নতুন ভোটাররা অনেক বেশি সচেতন। তাঁরা রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার দু’টোই সামনে থেকে দেখছেন। বর্তমানে তাঁদের কর্মসংস্থান বলে কিছু নেই। তাই আমরা আশা করব, তাঁরা বিবেচনা করেই বাম গণতান্ত্রিক প্রার্থীদের জয়ী করবেন।
