পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন ওই যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় এলাকার একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির কাছে বালির উপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। কেউ তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর কোনও উদ্যোগ নেয়নি। পুলিস যতক্ষণে আসে ততক্ষণে অবশ্য অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। পুলিস আসার পরও অবশ্য সমস্যার সমাধান হয় না। কার এলাকা তা নিয়ে দু’পক্ষই একে অপরের দিকে আঙুল তুলতে থাকে। স্থানীয়রা অবশ্য একাধিকবারই দাবি করেন, এলাকাটি দমদম থানার অন্তর্গত। তাই দেড় ঘণ্টার টালবাহানার পর শেষ পর্যন্ত দমদম থানার পক্ষ থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। যদিও বিকেলের পর থেকে ফের দমদম থানা এবং বারাকপুর কমিশনারেটের বেলঘরিয়া ডিভিশনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ওটি লেকটাউন থানা এলাকায় ঘটেছে। এরপরেই ফের বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। যদিও রাতের দিকে, দমদম থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, তারাই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করতে চলেছে। তবে রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও মামলা রুজু হয়নি। যেহেতু ওই যুবকের কোনও পরিচয়ও জানা যায়নি, তাই এখনও কেউ কোনও অভিযোগ করেনি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দেহটি উদ্ধার করে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে কি না? সেবিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের দিকেই পুলিস তাকিয়ে রয়েছে। তবে যেভাবেই মৃত্যু হোক না কেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন স্থানীয়দের মধ্যে দিনভর চর্চা চলে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের আনুমানিক বয়স ২৫-৩০ বছর। ওই যুবক খুন হয়েছেন কি না, কেউ মেরে সেখানে ফেলে রেখে গিয়েছে, নাকি সেখানেই মারা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে অনুমান, ঘটনাটি সোমবার রাতে ঘটেছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য এদিন অবশ্য জানান, আমি যা শুনেছি তাতে মনে হচ্ছে চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারা হয়েছে। আমার বক্তব্য হচ্ছে, আইন কেউ হাতে নিতে পারেন না। তদন্ত হোক। পুলিস পুলিসের কাজ করুক। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। স্থানীয়দের দাবি, মাথায় হাতে যেভাবে আঘাতের চিহ্ন ছিল, তাতে তাঁকে পিটিয়েই মারা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।