কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে আমার তহবিলের ২৫ কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ৫ কোটি টাকা শুধুমাত্র চাঁপদানি বিধানসভার জন্য খরচ করেছি। তাই এখানকার মানুষের কাছে গিয়ে আমার ও রাজ্য সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরুন তাহলেই দেখবেন চাঁপদানি বিধানসভা থেকে এমনিতেই লিড আসবে। কল্যাণবাবু বলেন, শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএম, কংগ্রেস বা বিজেপি যাকেই প্রার্থী করুক না কেন আপনারা যদি ১৫ হাজার লিড দেন তাহলে আমি ২ লক্ষের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হব।
এদিনের বৈঠকে কল্যাণবাবু ছাড়াও উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, চণ্ডীতলার বিধায়ক স্বাতী খন্দকার, চাঁপদানির প্রাক্তন বিধায়ক মুজফফর খান, কল্যাণবাবুর নির্বাচনী এজেন্ট দিলীপ যাদব, চাঁপদানি পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ মিশ্র, বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অরিন্দম গুঁইন সহ বিধানসভা এলাকায় হাজার চারেক কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কল্যাণবাবু বলেন, শ্রীরামপুর কেন্দ্রের মধ্যে সাতটি বিধানসভার মধ্যে শ্রীরামপুর ও চাঁপদানি বিধানসভা আমি নিজে দেখব। বাকি পাঁচটা বিধানসভা দলের নেতা কর্মী আর বিধায়কেরা দেখবেন। শুধু তাই নয় চাঁপদানি বিধানসভার বদনাম ঘোচানোর জন্য অন্যান্য বিধানসভায় দুদিন করে সময় দিলেও এখানে আমি প্রথম দফাতেই তিনদিন সময় দেব।
কল্যাণবাবু বলেন, বুথ নিয়ে পড়ে থেকে মানুষকে বুঝিয়ে অর্জুনের মতো লক্ষ্যভেদ করুন। পাড়া বৈঠক ও কর্মী সভা করুন। মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন। বিধানসভার মতো আত্মতুষ্টিতে ভুগবেন না। তিনি বলেন, বিজেপি আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগছে। তাই তারা এখনো প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারনি। অথচ আগেরবার তারা ভোটের দশদিন আগেই তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল। কল্যাণবাবু বলেন, ২০১৫ সাল থেকে চাঁপদানিতে সবাইকে নিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া জগদ্ধাত্রী পুজো করেছি। চার বছর ধরে হিন্দু মুসলিম সবাই মিলে পুজো করে দেখিয়ে দিয়েছি। একইভাবে সবাই মিলে মহরমের মিছিলে হেঁটেছি। আমরা সবাই একবৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান। সুতরাং ধর্ম নিয়ে কেউ সুড়সুড়ি দিলে বিভাজন ঘটাতে চাইলে পুলিসের কাছে অভিযোগ করুন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে চাঁপদানি বিধানসভায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি প্রার্থী বাপী লাহিড়ীর থেকে ২ হাজার ৩৪৪ ভোটে লিড পান। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বাম জোট প্রার্থী আব্দুল মান্নান তৃণমূলের প্রার্থী মুজফফর খানকে ৭২৮২ ভোটে হারিয়ে দেন।