পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
তীর্থঙ্করবাবু বলেন, দল আমাকে প্রার্থী করেছে। তাই যতটা বেশি সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করব। মানুষের কাছে গিয়ে এরাজ্যে শাসক দল ও কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের দুর্নীতি, মিথ্যা প্রতিশ্রুতিগুলির কথা তুলে ধরব। বামেরাই যে সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে আগামী দিনেও থাকবে তা বোঝানোর চেষ্টা করব। আমার আশা তৃণমূল ও বিজেপির জোড়া ফলায় নাজেহাল হওয়া মানুষ আমাদের পক্ষে সমর্থন জানাবেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গোড়া থেকেই লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দলই তাদের প্রস্তুতি শুরু করে। পরবর্তী সময়ে জেলা ও রাজ্যস্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার জন্য আলোচনা শুরু হয়। সমঝোতার অঙ্কের ভিত্তিতে এই জেলায় হুগলি ও আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র দুটি সিপিএম এবং শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রটি কংগ্রেসকে ছাড়া হবে বলে রাজ্য স্তরে ঠিক হয়। তারপরেই প্রস্তুতি বৈঠকে জেলায় দলের নিচুতলার কর্মীরা বারবার শ্রীরামপুর কেন্দ্রটিতে নিজেদের প্রার্থী দেওয়ার দাবি জানান। এজন্য জেলার পাশাপাশি রাজ্যস্তরেও কর্মীদের একাংশ তাঁদের দাবির কথা জানান। তাই নিচুতলার কর্মীদের দাবিকে কেন্দ্র করে সিপিএমের অন্দরে ঠান্ডা লড়াই চলছিল। বিধানসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতার জন্যই শ্রীরামপুর, চাঁপদানি সহ মহকুমা এলাকায় দলের সংগঠন ক্রমশ তলানিতে ঠেকছিল বলেও দাবি তোলেন কর্মীদের একাংশ।
এদিন প্রার্থী ঘোষণায় শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় কর্মীদের সেই ক্ষোভ মিটিয়ে নতুন উদ্যমে ভোট প্রচারে উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করছে সিপিএম কর্মীদের একাংশ। সিপিএম সূত্রে খবর, প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরেই এদিন সন্ধ্যায় জেলা কার্যালয়ে প্রচার নিয়ে একপ্রস্থ বৈঠক করেন তীর্থঙ্করবাবু। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই দেওয়াল লেখার পাশাপাশি কর্মীদের নিয়ে বিধানসভা ভিত্তিক বৈঠক করবেন। একই সঙ্গে ছোটো ছোটো পাড়া বৈঠক করবেন স্থানীয় সিপিএম কর্মীরা।