পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
চলতি মাসের ৯ তারিখ এসটিএফের হাতে দীপক মণ্ডল নামে এক জাল নোটের কারবারি গ্রেপ্তার হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় বিপুল অঙ্কের নকল নোট। দীপককে হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করেন তদন্তকারী অফিসাররা। জানা যায়, সে অনেকদিন ধরেই কলকাতায় জাল নোট নিয়ে আসছে। মূলত কেরিয়ার হিসাবে কাজ করছে বলে দীপক জানায়। তবে সে একা নয়, প্রতিদিন মালদহ থেকে একাধিক ব্যক্তি এই নকল টাকা নিয়ে আসছে কলকাতায়। এদের মধ্যে জাল নোটের কারবারি থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা পর্যন্ত রয়েছে। যারা এখানে নকল টাকা নিয়ে আসছে, তারা মূলত কেরিয়ার হিসেবে কাজ করছে। অনেক সময় ব্যবসায়ীদের হাত দিয়েই জাল নোট পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেকের হাতে খামবন্দি প্যাকেট দিয়ে দেওয়া হচ্ছে ট্রেনে বা বাসে ওঠার সময়। তাঁদের অনেকেই জানতে পারছেন না, এর মধ্যে জাল টাকা রয়েছে। নিজেদের অজান্তেই এই টাকা তাঁরা কলকাতায় নিয়ে চলে আসছেন। নকল নোট কারবারে যুক্ত ব্যবসায়ীরা কলকাতায় তাদের এজেন্টকে জানিয়ে দিচ্ছে কে এই টাকা নিয়ে আসছে। সেইমতো এজেন্ট যোগাযোগ করে টাকা নিয়ে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সড়কপথেই তা আনা হচ্ছে। দীপকই জানায়, মালদহের বাসিন্দা তাফজুল ঘন ঘন কলকাতায় আসছে। সেইমতো তার উপর নজরদারি শুরু হয়। জানা যায়, সোমবার সে কলকাতায় আসবে। এন্টালি এলাকায় তার সঙ্গে দেখা করবে জাল নোটের কারবারে জড়িত এক এজেন্ট। সেখানেই নোট হাতবদল হবে। সেইমতো সেখানে আগেই পৌঁছে যান এসটিএফের তদন্তকারী টিমের অফিসাররা। সেখানে আসা মাত্রই তাফজুলকে আটক করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় দু’ লক্ষ টাকার জাল নোট। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিস জানতে পারছে, মালদহ থেকে যে সমস্ত জাল নোট আসছে কলকাতায় তা নিচ্ছে কয়েকজন এজেন্ট। তাদের মাধ্যমে তা আবার কেরিয়ারদের কাছে যাচ্ছে। যারা কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তা নিয়ে যাচ্ছে। কলকাতার এই সমস্ত এজেন্টদের সঙ্গে এই কারবারের শীর্ষ মাথাদের যোগাযোগ রয়েছে। এখানে যারা এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে তাদের নাম জানার চেষ্টা করছেন অফিসাররা। সমস্ত টাকাই বাংলাদেশ থেকে আসছে। তবে মালদহে জাল নোট ছাপানোর কোনও ইউনিট খোলা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয় অফিসারদের কাছে। সেই কারণে বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।