কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম সূত্রের খবর, এক বগির দু’টি এসি ট্রাম আগে থেকেই ছিল। কিন্তু, সেগুলিকে নিয়মিত রুটে চালানো হয় না। মূলত ছুটির দিনে প্রমোদ ভ্রমণের জন্য এবং কোনও অনুষ্ঠানের জন্য এসি ট্রাম ভাড়ায় দেওয়া হয়। নিগমের এক কর্তা বলেন, বর্তমানে নিগমের এসি বাস ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে যাত্রী মহলে। এসি বাস জনপ্রিয় হলে এসি ট্রাম রুটে চালানো হবে না কেন? কার্যত এই ভাবনা থেকেই যাত্রীদের সুবিধার্থে এক বগির দু’টি এসি ট্রাম তৈরি করা হয়েছিল। কিছুদিন আগে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম দু’টির যাত্রার সূচনা করেন। এই ট্রাম দু’টিকে এখন প্রমোদ ভ্রমণের বদলে সাধারণ রুটে চালানো শুরু হয়েছে। এই পরিকল্পনা সফল হলে আগামী দিনে আরও কয়েকটি এই ধরনের ট্রাম তৈরি করা হবে।
নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, এসি ট্রাম যে রুটে চালানো হচ্ছে, সেটি হল, নোনাপুকুর থেকে ধর্মতলা হয়ে শ্যামবাজার (৮.৪৪ কিলোমিটার)। ফের শ্যামবাজার থেকে ওই রুটেই ফিরছে নোনাপুকুর। ইতিমধ্যেই কয়েকদিন পরীক্ষামূলকভাবে ওই রুটে এসি ট্রাম চালানো হয়েছে। বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের কিছু কাজ করা হচ্ছে ট্রাম দু’টিতে। আগামী দু’-একদিনের মধ্যেই সেগুলিকে ফের রুটে ফেরানো হবে। দিনে আপ-ডাউন মিলিয়ে মোট ছ’টি ট্রিপে চলবে এসি ট্রাম। প্রতিটি ট্রামে ২৪টি করে সিট রয়েছে। নিগম সূত্রের খবর, এসি ট্রামের জন্য আপাতত ভাড়ার দু’টি স্টেজ করা হয়েছে। প্রথম পাঁচ কিলোমিটারের জন্য ভাড়া ধার্য হয়েছে ২০ টাকা। পাঁচ কিলোমিটারের বেশি হলে ভাড়া দিতে হবে ২৫ টাকা।
নিগমের এক কর্তা বলেন, বর্তমানে রাস্তায় মেট্রো রেল সহ নানা সংস্থার কাজকর্মের জেরে রুটে ট্রামের সংখ্যা কমেছে। বর্তমানে দৈনিক কমবেশি ৪০ থেকে ৪৫টি ট্রাম চালানো হয়। কিন্তু, প্রতিদিন না নামলেও রুটে চালানোর জন্য তৈরি রাখা হয়েছে ৬০টি ট্রামকে। বর্তমানে নিগমের হাতে ট্রাম রয়েছে আড়াইশোরও বেশি। তার মধ্যে ১২০টি ট্রাম রুটে চলার উপযোগী। পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তা বলেন, ট্রামের সঙ্গে শহরের ঐতিহ্য জড়িত। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হবে। আগামী দিনেও বর্ধিত যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য যুক্ত ট্রাম রাস্তায় নামবে। বর্তমানে ট্রাম রেস্তরাঁ ও ট্রাম মিউজিয়াম যাত্রীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্তা।