পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দেন তৃণমূলের ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন। দল ছাড়লেও এদিন পর্যন্ত বিধায়ক পদ ছাড়েননি তিনি। এমনকী তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে ভাটপাড়া পুরসভার নির্বাচিত চেয়ারম্যান পদেও বহাল তবিয়েতে রয়ে গিয়েছেন অর্জুন। তাঁর দাবি, পুরসভার সিংহভাগ কাউন্সিলার তাঁর পাশে রয়েছেন। অর্থাৎ তাঁরাও বিজেপির দিকে পা বাড়িয়েছেন, এমনই দাবি অর্জুনের। কিন্তু এদিন দুপুরে বিধানসভায় দেখা গেল ভাটপাড়ার ভাইস চেয়ারম্যান সোমনাথ তালুকদার সহ ২১ জন কাউন্সিলারকে। তাঁরা এসেছিলেন জেলা সভাপতি জ্যেতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে। সেখানে হাজির ছিলেন মন্ত্রী তথা রাজ্য তৃণমূলের পুর দলের নেতা ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী তাপস রায়, দলের জেলা পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষ এবং বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। নৌসর আলি কক্ষে কাউন্সিলারদের সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের আলোচনা হয়। সেখানেই ভাইস চেয়ারম্যান সোমনাথ তালুকদারের নেতৃত্বে বাকি পুরপ্রতিনিধিরা সর্বসম্মতভাবে অর্জুনের অপসারণের দাবি তোলেন। পুরমন্ত্রী তথা দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ফিরহাদ হাকিমকেও আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁরা ওই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। সভায় ২১ জন কাউন্সিলার হাজির ছিলেন। একজন কাউন্সিলার উপস্থিত না থাকলেও ফোনে তাঁর মতামত জানিয়ে দেন। দলের পরামর্শ অনুসারে ভাইস চেয়ারম্যানই অর্জুনের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপক প্রস্তাব পেশ করেন। সোমনাথের সই করা চিঠিতে বাকি ২০ জন সম্মতি জানান। মোট ২১ জনের সই করা সেই চিঠি পুরবিধি মেনে চেয়ারম্যান অর্জুনকে পাঠানো হয়। ওই কাউন্সিলাররা চিঠিতে অর্জুনের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে পুরবোর্ডের বৈঠক ডাকার দাবি জানান। একই চিঠি পাঠানো হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুর মহকুমা শাসকের কাছে। জেলা সভাপতি জ্যেতিপ্রিয় মল্লিক জানান, ভাটপাড়ার মানুষ তৃণমূলের পক্ষে রায় দিয়েছিল। তারা অন্য কেউ নন, নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করেছিল। মানুষের সেই রায়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলাররা দল থেকে বহিষ্কৃত চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন।
মোট ৩৫ জনের পুরসভা হলেও বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ৩৩। এর একজন বাদে সব কাউন্সিলারই তৃণমূলের। তাঁদের মধ্যে ২১ জন অনাস্থার পক্ষে সরব হলেও সূত্রের মতে, এদিন হাজির হতে না পারা আরও জনাপাঁচেক কাউন্সিলার তৃণমূলের প্রতি আনুগত্যের কথা স্বীকার করেছেন। যার সুবাদে অর্জুন বিরোধী ভাটপাড়া পুরসভার প্রতিনিধিদের তালিকা আরও দীর্ঘ হবে বলে দাবি করেছেন জেলার বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। উল্লেখ্য, অনাস্থা আনা হলে, গোপন ভোটে পুর প্রতিনিধিরা তাঁদের মতামত জানাবেন। এদিকে, নিজের জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী অর্জুনের দাবি, বেশ কিছু কাউন্সিলারকে ভয় দেখানো হচ্ছে।