বিএনএ, বারাকপুর: বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়নি। তবুও তিনি এই কেন্দ্রের সম্ভাব্য বিজেপি প্রার্থী, তা দলীয় কর্মী সমর্থকদের মুখে মুখে ঘুরছে। এরমধ্যেই সোমবার তিনি নিজের খাসতালুকে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন অর্জুন সিং। জনসংযোগের পাশাপাশি চেয়ারম্যান হিসাবে তিনি পুরসভাতেও যান। জনসংযোগ করতে টোটোয় চেপে এলাকায় ঘোরেন। দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে তিনি মিছিল করেন। শুধু নিজের কেন্দ্রে নয়, গাড়ুলিয়া, বারাকপুর এলাকাতেও এদিন তিনি দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালের দিকে মেঘনা মোড়ে মজদুর ভবনে তিনি বসেন। সেখানে বহু কর্মী সমর্থকের ভিড় ছিল। চেয়ারম্যানের কাছে বিভিন্ন দরকারে অনেকেই দেখা করতে এসেছেন। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা সেখানে হাজির ছিলেন। মজদুর ভবন থেকে তিনি টোটো করে জনসংযোগ করেন। মেঘনা কুলি লাইন এলাকায় তিনি সেখানকার আবাসিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। পুরসভায় তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হচ্ছে বলে সকাল থেকেই জল্পনা চলছিল। কিন্তু, সেই সব জল্পনাকে তোয়াক্কা না করেই অন্যদিনের মতো এদিন তিনি ভাটপাড়া পুরসভায় গিয়ে তিনি নিজের চেয়ারম্যান অফিসে বসেন। পুরসভার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগও সেখানে তিনি শোনেন। প্রায় দুঘণ্টা মতো সেখানে তিনি ছিলেন।
বারাকপুর মহকুমা আদালতে বিজেপি লিগ্যাল সেলের একটি বৈঠকে তিনি উপস্থিত হন। এমনিতেই বারাকপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য আগেই বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তাছাড়া একাধিক আইনজীবী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন আদালতে এসে আইনজীবীদের সঙ্গে তিনি জনসংযোগ সারেন।
বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলেন, এদিন অকল্যান্ড জুটমিলের কাছে একটি ক্লাব তৃণমূলের লোকজন দখলের চেষ্টা করে। সেখানে আমার ভাইপো বলে পরিচিতও ছিল। তার নেতৃত্বে এসব হচ্ছিল বলে শুনছিলাম। দলীয় কর্মীদের বাধায় তারা পালিয়ে গিয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে যাই। পরিস্থিতি সামাল দিই। এলাকায় মিছিল করেছি। রিলায়েন্স জুটমিলের কর্মীদের সঙ্গে বিকালের দিকে বৈঠক করেছি। আর সন্ধ্যার দিকে গাড়ুলিয়া যাব। সেখানে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করব।