বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, নমিতার বয়স ৩৫ বছর। স্বরূপনগরে তার আসল বাড়ি। কিন্তু, সে বনগাঁ, বাগদা ও ঠাকুরনগরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াত। রাতে স্টেশনেই ঘুমোত। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে সে রেকি করত। তারপর সুযোগ বুঝে চুরি করত। পুলিসের দাবি, তাদের খাতায় সে ‘কুখ্যাত’ চোরের তালিকায় রয়েছে। কিন্তু, কেন? পুলিস জানিয়েছে, তার চুরির ধরন দেখলে অনেকের মাথা ঘুরে যাবে। কয়েক মাস আগে সে বনগাঁ শহরে একটি দোকান থেকে ৩০ হাজার টাকা চুরি করেছিল। দোকানের পিছনের দিকের দেওয়াল কেটে সে একাই ভিতরে ঢুকেছিল। দিন কয়েক আগেই বনগাঁ শহরেই সে একটি ফলের দোকানে ঢুকে চুরি করেছে বলে জানা গিয়েছে। ওই দোকান থেকে আপেল, বেদানা ও ন্যাসপাতির বাক্স নিয়ে পালিয়ে যায়। তারপর হাবড়ায় গিয়ে ওই ফল বিক্রি করে। প্রায় ১০ হাজার টাকার সে ফল লুট করেছিল।
যে বাড়িতে সে চুরি করত তার আগে ওই বাড়ির চারপাশে একাধিকবার ঘুরত। এমনকী, বাড়ির লোকজন কখন থাকেন, কখন বাইরে যান সব লক্ষ্য করত। তারপর সুযোগ বুঝে চুপচাপ ঢুকে পড়ত। হাতের কাছে যা পেত তা নিয়েই চম্পট দিত। পুলিস জানিয়েছে, মাস কয়েক আগে সে একটি বাড়িতে চুরির জন্য যায়। কিন্তু, দরজা কোনওভাবে খুলতে পারেনি। কিন্তু, সে পিছু হটার পাত্র নয়। বাড়ির ছাউনি বেয়ে সোজা উপরে উঠে যায়। তারপর টালি খুলে কাঠামোয় ঝুলতে ঝুলতে সে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। তারপর চুরি করে একই পথ দিয়ে পালিয়ে যায়। সে বিভিন্ন মন্দিরের সামনে যেত। কোনও মন্দিরে বেশি ভক্ত যান, আর প্রণামী বাক্সে টাকা দেন লক্ষ্য করত। তারপর সুযোগ বুঝে সেই প্রণামী বাক্স ফাঁকা করে দিত। পুলিস জানিয়েছে, ধৃত জেরায় সব চুরির কথা কবুল করেছে। সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।