কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিভিন্ন এলাকার খুচরো ব্যবসায়ীরা এসে ভিড় জমাচ্ছেন বড়বাজারে। কিনছেন বিভিন্ন ডিজাইনের পিচকারির সঙ্গে নানা রং। থিক থিক সেই ভিড়ে কে নেই! পরিবারের সদস্যরা, মন্দিরের সেবায়েতরা, প্রেমিক যুগল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা দল বেঁধে কিনছেন বিভিন্ন রং এবং আবির। কয়েকজন কলেজ ছাত্রীকে ওই ভিড়ের মধ্যেই দেখা গেল, রঙের গুণাগুণ সঠিক আছে কি না, তা পরখ করার জন্য দোকানদারের কাছ থেকে জল রং নিয়ে হাতে লাগিয়ে দেখে নিচ্ছেন। মনে ধরলে তবেই কেনাকাটা।
বড়বাজারে এবার যেমন বাহারি পিচকারির রকমারি সমাহার, তেমনি রয়েছে নানা রঙের মেলা। রঙের পসরা সাজিয়ে বসেছেন সঞ্জয় শোনকার। দোলের বাজার এবার কেমন? উত্তরে ওই ব্যবসায়ী বলেন, আগের বছরের থেকে অনেকটাই ভালো। তিনি বলেন, এখনও সময় আছে। আশা করছি, বাজার আরও উঠবে। আরেক ব্যবসায়ী বিনয় সাউ বলেন, আমাদের কাছে ৩৫ রকমের রং আছে। দাম ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে দেড় হাজার টাকা কেজি পর্যন্ত। যেমন রঙের গুণাগুণ, তেমন তার দাম। তাঁর কথায়, দামি রঙের মধ্যে সব থেকে বেশি চাহিদা গোলাপি, সবুজ এবং রূপালি রঙের। কোথাও কোথাও ওই সমস্ত রং ভরি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। আবিরের বাজার তো রীতিমতো চাঙা। ৬০ থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে আবির বিকোচ্ছে। বিভিন্ন মন্দির কর্তৃপক্ষও আবির কিনতে এসেছে বড়বাজারে। ভক্তদের মাখাতে এবং মন্দিরে দেবতার উদ্দেশে নিবেদন করতে তাদের প্রয়োজন বেশি পরিমাণে আবির। ১০ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত লাল সবুজ হলুদ গোলাপি আবির কিনতে দেখা গেল তাদের। অনাদিকিশোর ঘোষাল নামে এক মন্দিরের সেবাইত বলেন, আমাদের মন্দিরে দোলের দিন বহ ভক্তের সমাগম হয়। তাঁরা শ্রীকৃষ্ণের মন্দিরে সেই আবির নিবেদন করে থাকেন। দাম একটু কম পাওয়া যাবে বলেই এখানে আসা।