কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেতা তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দিয়েছেন, দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে যে কাউন্সিলার ব্যর্থ হবেন, তাঁকে ভবিষ্যতে আর টিকিট দেওয়া হবে না। বারাসত শহর তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য রাজ্য নেতৃত্বের এই ঘোষণার সপ্তাহখানেক আগেই নিজেদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্যের পর নিজেদের মধ্যে ওই প্রতিযোগিতা আরও বেড়ে গিয়েছে। শুধু দলীয় প্রার্থীকে জেতানো নয়, নিজের ওয়ার্ড থেকে সবচেয়ে বেশি লিড দেওয়ার জন্য সকলেই এখন মরিয়া। বারাসত পুরসভা তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। পুরসভার ৩৫ ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ২৬টি ওয়ার্ড। একজন কাউন্সিলারের মৃত্যু হওয়ায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্যদের নিয়ে বর্তমানে শাসকদলের মোট ২৫ জন কাউন্সিলার রয়েছেন।
বারাসত শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা বারাসত পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, দেখুন আমরা দলের তরফে সব কাউন্সিলারদের নিয়ে একটা বৈঠক করেছিলাম। সেখানে নিজেদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা করতে বলেছি। অর্থাৎ যে কাউন্সিলার বেশি লিড দেবে, তাঁকে অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হবে। যাতে ওই বরাদ্দ দিয়ে তিনি নিজের ওয়ার্ডের জনগণের জন্য আরও বেশি উন্নয়ণমূলক কাজ করতে পারেন। আমাদের সকলেই প্রচারের কাজে মাঠে নেমে পড়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বারাসত লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদার এই বারাসত বিধানসভা থেকে ২৫ হাজার ৪৯২ ভোট লিড পেয়েছিলেন। ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূল এই পুরসভা দখল করে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীও প্রায় ২৫ হাজার ভোটে লিড পেয়ে দ্বিতীয়বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, পর পর তিনটি ভোটের ফলাফল অনুযায়ী এই শহরে শাসকদল নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক ধরে রেখেছে।
তৃণমূলের বারাসত শহরের সাধারণ সম্পাদক অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, যেহেতু এবার আমাদের নিজেদের মধ্যেই প্রতিযোগিতা হচ্ছে, তাই আমরা আশাবাদী ২০১৪ সালে আমাদের প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদার এই শহর থেকে যত ভোটে লিড পেয়েছিলেন, এবার তার চেয়ে বেশি ভোটে লিড দেব।