রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
মাঠপুকুর চারমাথা মোড়ে বাস দাঁড়াবে না বলা থাকলেও, সেখানেই ভিড় করেন যাত্রীরা। আর ভিড় দেখে অধিকাংশ সরকারি এবং বেসরকারি বাস দাঁড়িয়ে পড়ে তাঁদের তোলার জন্য। আবার নির্দিষ্ট যে স্থানকে বাসস্টপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে কোনও যাত্রীই প্রায় দাঁড়ায় না। আর যাঁরা অপেক্ষা করেনও, সেখানে বাস বেশিরভাগ সময় না দাঁড়িয়ে চলে যায়। যা নিয়ে পরে বাস চালক ও কন্ডাক্টরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যাত্রীর ঝামেলাও হয়েছে। এমন ভুক্তোভোগী ককেজন যাত্রীদের কথায়, নির্দিষ্ট বাসস্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষা করেও বাস থামানো যায় না। হাত দেখালেও, চালক দেখে উপেক্ষা করে স্পিড বাড়িয়ে চলে যান। আবার কয়েকজন যাত্রীর অভিজ্ঞতা, নির্দিষ্ট স্টপে হাত দেখানোর পর বাস দাঁড়ালেও, তা নিয়ে বেশ বিরক্তি প্রকাশ করেন কন্ডাক্টর ও চালক। এটি বাসস্টপ নয়। এখানে দাঁড়াবেন না। এমন সব উক্তিও উঠে আসে তাঁদের তরফে। আর তার পাল্টা বলতে গেলেই, বেধে যাচ্ছে ঝগড়া।
এদিকে, মাঠপুকুর মোড়ে যাত্রী তোলার জন্য পরপর বাস দাঁড়িয়ে পড়ে। যার জেরে এমনও হয়েছে, পিছন থেকে অন্য বাস বেরিয়ে গিয়েছে। ফলে বহু যাত্রী বাস মিস করেছেন। নিত্যযাত্রীদের মতে, কোনটা স্টপ আর কোনটা নয়, তা জানা নেই। বাস যেখানে দাঁড়ায়, সেখানেই দাঁড়াতে হয়। তবে এই বিভ্রান্তি কাটানোর জন্য ট্রাফিক পুলিসেরও কোনও যথাযথ উদ্যোগ দেখা যায় না বলেও অভিযোগ উঠেছে। কারণ, মাঠপুকুরেই মা উড়ালপুলের নীচে বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ডের অফিস। সেখানে একাধিক পুলিসকর্মী মোতায়েন থাকেন। থাকেন সার্জেন্টও। অথচ, নির্দিষ্ট স্থানে বাস দাঁড়ানোর জন্য সেরকম কোনও উদ্যোগও দেখা যায় না। এমনই অভিযোগ যাত্রীদের।
এ নিয়ে অবশ্য বাস চালকদের মধ্যেও বিভাজন রয়েছে। কয়েকটি সরকারি বাসের চালকরা দাবি করেন, যেখানে স্টপ লেখা, সেখানেই দাঁড়াতে হবে। কিন্তু সেখানে যাত্রীদের দেখা মেলে না। তাই যাত্রী যেখানে থাকে, সেখানেই দাঁড়াতে হয়। সরকারি বাসের চালকদের মধ্যেই বেশি দেখা গিয়েছে, তাঁরা নির্ধারিত স্টপে দাঁড়াতে চায় না। বেসরকারি বাসের চালকরা অবশ্য যাত্রী যেখানেই দাঁড়াক না কেন, সেখানে হাত দেখালেই থামিয়ে দেন।