কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য রবিবার চন্দনগরে দলের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন, প্রাক্তন কাউন্সিলর ও শাখা সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বৈঠকের জন্য ডাকেন প্রার্থী রত্না দে নাগ। কর্মিসভার শুরুতেই দলের এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীকে দোষারোপ করতে থাকে। দু’পক্ষের বাদানুবাদে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী অভিযোগ করতে থাকে কিছু কাউন্সিলরের আচার-আচরণ, স্বজন-পোষণের কারণে পুরনিগমের বোর্ড ভেঙে দেওয়া হয়। সেখানে পুরপ্রশাসক বসানো হয়। কিন্তু প্রশাসকের মেয়াদ ছ’মাস পূর্ণ হতেই যাদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেই সমস্ত কাউন্সিলর ও বিদায়ী মেয়েরের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু আমাদের কথাকে গুরুত্ব না দিয়েই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসমস্ত কিছুর জন্য কর্মীদের একাংশ বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেনকে দায়ী করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন বিক্ষুদ্ধ কর্মীদের আশ্বস্ত করে বলেন, এখন সামনে নির্বাচন। সব ভুলে নিজেরা একজোট হয়ে ভোট করুন। কিন্তু বিধায়কের কোনও কথাই শোনেননি কর্মীরা। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে দেখে রত্না দে নাগ কর্মীদের সংযত হতে বলেন। তখন কর্মীরা চিৎকার শুরু করে, ‘দিদি আপনাকে দল প্রার্থী করেছে। আপনাকে নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আপনাকে জেতাতে আমরা দিনরাত পরিশ্রম করব।’ এরপরেই পাশে বসা বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেনকে কর্মীরা বলেন, এক নেতার মদতে গোষ্ঠীকোন্দল বেড়েই চলেছে। উপরতলার নেতার মদত পেয়েই বেশ কিছু স্বঘোষিত নেতার আচার আচরণ দলের পক্ষে ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কর্মীদের মুখে একথা শোনার পরে রত্না নাগ তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেন, আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে দেখে কাজ করুন। আর কারও দিকে তাকাবেন না। আপনারা দলের জন্য কাজ করুন। কোনও ব্যাক্তির জন্য নয়। তিনি বলেন, মনে রাখবেন ব্যাক্তি আমি কাল নাও থাকতে পারি। কিন্তু তৃণমূল দল থাকবে। প্রার্থীর মুখে একথা শোনার পরেই শান্ত হন কর্মীরা। যদিও কর্মিবৈঠকে গণ্ডগোলের বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে রত্নাদেবী সেভাবে মুখ খুলতে চাননি। তিনি বলেন, এদিন কর্মিবৈঠক করেছি। কর্মীরা কিছু দাবির কথা জানিয়েছেন আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।