গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,মঙ্গলবার রাতে দলুইগাছার বাড়িতে মফিজউদ্দিন তার স্ত্রী মজবুরা বেগমকে নিয়ে খেতে বসে ছিলেন। ওই সময় মফিজউদ্দিনের উপরে চড়াও হয় তার তিন সৎ ভাই শেখ আমিন, শেখ আনিজ, শেখ শফিক। মফিজউদ্দিনকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। মফিজউদ্দিন আপত্তি করলে তিন ভাই তার উপরে বঁটি-কাটারি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। স্বামীকে বাঁচাতে আসেন স্ত্রী মজবুরা বেগম। ওই সময়ে সৎ ভাইরা তাঁকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। অস্ত্রের কোপে ডানহাতের একটি আঙুল বাদ যায় মফিজের। তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসতেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এরপরে প্রতিবেশীরা আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যায়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই তাঁদের শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মজুবুরা বেগমের কাকা শেখ নওশাদ বলেন, মফিজ দিল্লিতে একটি প্রতিষ্ঠানে সাঁতারের প্রশিক্ষক। সম্প্রতি ছুটি নিয়ে সে গ্রামের বাড়িতে এসে ছিল। বুধবার তার দিল্লী ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সৎ ভায়েরা আমার ভাইঝি ও তার স্বামীর উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায়। তারা এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার আগেই অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে ভিন রাজ্যে চম্পট দিয়েছে। তাদের খুঁজে বের করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।