বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী চৌধুরি মোহন জাটুয়া বলেন, কোনও শুভ কাজ করার আগে অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রী তারাপীঠে গিয়ে পুজো দিয়ে আসেন। আমার কাছে মন্দিরবাজারের এই শিবমন্দিরকে তারাপীঠের মতো করে দেখি। কারণ, পুলিসের চাকরি থেকে অবসরের পর ২০০১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মন্দিরবাজার কেন্দ্র থেকে প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলাম। সেইবার এই শিবমন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচারে নেমেছিলাম। পরবর্তী ধাপ ২০০৯ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে প্রথম মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সংসদ সদস্য হই। তখনও এই শিবমন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচারে গিয়েছি। সেবার কেন্দ্রে ইউপিএ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলাম। ওই সময় সাড়ে তিনবছর পর অবশ্য জোট থেকে আমাদের দল বেরিয়ে আসে। ২০১৪ সালে দল আবার টিকিট দিয়েছে। সেবারও এই মন্দিরে পুজো দিয়ে দেড় লাখের বেশি মার্জিনে জিতেছিলাম। এবারও তাই সেই শিবের পুজো দিয়ে তাঁর আশীর্বাদ নিয়ে ভোট যুদ্ধের লড়াইয়ে নেমে পড়লাম।
এদিন প্রচারের শুরুটা বিজয়গঞ্জ বাজারে কর্মী সভা দিয়ে হল। মন্দিরবাজারের বুথ থেকে ব্লক ও পঞ্চায়েত পর্যায়ের চার থেকে পাঁচশো জন কর্মীকে নিয়ে ভোটের ইস্যু কী হবে তা নিয়ে বিস্তারিত জানালেন প্রার্থী। বিজেপিকে মোকবিলার জন্য রাজনৈতিক অস্ত্র কী তাও তুলে ধরা হল কর্মীদের সামনে। সকলকে স্মরণে রাখতে বলা হল, এখন ভারতবর্ষে প্রধান বিরোধী মুখ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত জানুয়ারি মাসে ব্রিগেডে ভারতের ২৩টি দলের নেতাদের সামনে এটাই মান্যতা পেয়েছে বলে বিষয়টি প্রচারে আনতে বলা হয় কর্মীদের। সন্ধ্যার আগে মন্দিরবাজারে দেড় কিলোমিটারের বেশি হেঁটে মিছিল করলেন। এক হাজারের বেশি দলের লোকজন সেই মিছিলে অংশ নেয়। তৃণমূল প্রার্থী জাটুয়া সাহেব দাবি করেন, লোকসভার আসনের নিরিখে বিজেপি, কংগ্রেস ও এআইডিএমকের পর সংসদ সদস্য সংখ্যায় তৃণমূল চতুর্থ স্থানে রয়েছে। সেই জায়গাটি এবার তৃতীয় স্থানে নিয়ে যেতে হবে। সেই কারণে ৪২টি আসনে তৃণমূলকে জিতিয়ে আনতে হবে। ভোটে কী কী ইস্যু থাকছে?
এই প্রশ্নে চৌধুরি মোহন জাটুয়া বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামগ্রিক উন্নয়নই আমাদের প্রচারের মূল চাবি। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের মোদি সরকার জনহিতকর কোনও কাজই করেনি। শুধু বিভাজন করে গিয়েছে। আর্থিকভাবে দেশ ও দশের মানুষকে আর্থিক দিক থেকে পঙ্গু করে দিয়েছে। মথুরাপুর কেন্দ্রে একদিকে বিজেপি ও অন্যদিকে সিপিএম কংগ্রেস জোট এই ত্রিমুখী লড়াইয়ে ভোট কাটাকাটিতে তৃণমূল কতটা লাভবান হবে? চৌধুরি মোহন জাটুয়া বলেন, তৃণমূল লাভবান হবে। কারণ, বিরোধীদের দিকে মানুষ নেই।