পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রেলপুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সোমা চট্টোপাধ্যায় (৫৪)। তাঁর মেয়ের নাম বাসনা চট্টোপাধ্যায়। তার বয়স বছর ১৭-১৮। তার মুখে ও মাথায় চোট লেগেছে। বারাসতের তরুণপল্লি এলাকায় তাঁদের বাড়ি। এদিন সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিট নাগাদ ডাউন শিয়ালদহ লোকাল ট্রেনে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মা ও মেয়ে দু’জনে কলোনি মোড়ের দিক থেকে এসে ১২ নম্বর রেলগেট দিয়ে লাইন পার হচ্ছিলেন। সেই সময় ডাউনে ট্রেন আসছিল। পার হতে গিয়ে মা লাইনের উপর পড়ে যান। মেয়ে তাঁকে তুলতেও যান। কিন্তু ততক্ষণে ট্রেন চলে আসে। ঘটনাস্থলেই মারা যান সোমাদেবী। জখম হন বাসনা।
বারাসত স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে এই ১২ নম্বর রেলগেট। আগে এখানে লেবেল ক্রসিং ছিল। বাম আমলে এর উপর দিয়ে শহরের চাঁপাডালি থেকে কলোনি মোড় পর্যন্ত উড়ালপুল তৈরি হয়েছে। তাই ১২ নম্বর রেলগেটের লেবেল ক্রসিং তুলে তার দু’পাশে লোহার ফেন্সিং দিয়ে বড় গাড়ির যাতায়াত বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু গাড়ি না চলাচল করলেও প্রতিদিন এই রেলগেট দিয়ে হাজার হাজার নিত্যযাত্রী পারাপার করেন। এই রেলগেটের দু’পাশে উড়ালপুলের নীচ বরাবর মার্কেট এলাকা। শহরের এবং বাইরের প্রচুর মানুষ সেখানে আসেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সকলে রেললাইন পারাপার করেন। তাই এই ১২ নম্বর রেলগেটে একটি ‘ভূগর্ভস্থ পথ’ তৈরির দাবি ছিল দীর্ঘদিনের।
বারাসতের সংসদ সদস্য ডাঃ কাকলি ঘোষদস্তিদার ২০১০ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তিনি বাজেটে তা মঞ্জুরও করেছিলেন। অবশেষে ওই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। গত ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি নাগাদ কাজ শেষ হয়েছে। অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ শেষ হলেই এই ভূগর্ভস্থ পথের উদ্বোধন হবে। স্থানীয়দের দাবি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পথের উদ্বোধন করা হোক। তা নাহলে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে না। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই ভূগর্ভস্থ পথ চালু করা হবে।