নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: তিনটি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি গুঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে পৃথক আরও একটি হত্যা মামলায় সাক্ষ্যপর্ব প্রায় শেষের পথে। সরকারি আইনজীবী নবকুমার ঘোষ জানান, বর্তমানে এই মামলায় শেষ সাক্ষী পূর্বতন সিআইডি’র তদন্তকারী অফিসার (আইও) আব্দুর রশিদের সাক্ষ্য চলছে। তাঁর সাক্ষ্য অসমাপ্ত রয়েছে। আগামী ১৪ মার্চ ওই অফিসারের ফের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য হয়েছে। আলিপুরের দ্বাদশ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মঞ্জুশ্রী মণ্ডলের এজলাসে চলা এই মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে গুঞ্জন ঘোষ ছাড়া আরও তিনজন আছে। এরা হল মুকেশ, মুন্না এবং গুড্ডা। বর্তমানে এরা সকলেই জেল হেফাজতে। সরকারি আইনজীবী জানান, কিছুদিন আগে গুঞ্জন কোর্টের কাছে আবেদন করে, তাকে জেল থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া আসার পথে যেন একটি পৃথক গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়। সেই আবেদনের শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১৪ মার্চ। অন্যদিকে, আর এক বন্দি কোর্টের কাছে জানিয়েছিল, তাকে রাজ্যের একটি সংশোধনাগার থেকে শুনানির দিনে আলিপুর আদালতে আনা হয়। তাই তাকে যেন শহরের কোনও জেলে ফিরিয়ে আনা হয়। যদিও সেই আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক। সে ক্ষেত্রে আদালতের বক্তব্য ছিল, কোন জেলে কোন বন্দিকে রাখা হবে, সেটা জেল কর্তৃপক্ষের নিজস্ব বিষয়। তা নিয়ে কোর্ট কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, যে তিনটি মামলায় গুঞ্জনের ইতিমধ্যে যাবজ্জীবন হয়েছে, তা হল: ১) সল্টলেকের বাসিন্দা শিল্পপতি কন্যা রোমা ঝাওয়ারকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহরণ। ২) দমদমে দুধ ব্যবসায়ী পুত্র মিঠুন কোলে হত্যা এবং ৩) নারকেলডাঙায় পুলকার ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দে হত্যা মামলা। এছাড়া বর্তমানে যে মামলাটি আলিপুর কোর্টে চলছে, সেই যুবক অরবিন্দ প্রসাদের মৃতদেহটি পরমা থানা এলাকা থেকে পাওয়া গিয়েছিল ২০০৪ সালে। সিআইডি তদন্ত করে জানতে পারে, এই হত্যার সঙ্গেও যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে গুঞ্জন এবং তার তিন শাগরেদের বিরুদ্ধে। সরকারি আইনজীবী জানান, টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়েই গণ্ডগোলের জেরে অরবিন্দ প্রসাদ নামে ওই যুবক খুন হয়ে বলে অভিযোগ। যদিও আদালতে ওই অভিযুক্তদের আইনজীবীরা বার বার দাবি করে আসছেন, তাঁদের মক্কেলদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।